আফগানিস্তানে বন্দুক হামলায় নিহত ১৬ শিয়া, দায় স্বীকার আইএসের

আফগানিস্তানে বন্দুক হামলায় নিহত ১৬ শিয়া, দায় স্বীকার আইএসের

আফগানিস্তানের মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ দায়কুন্দির রাজধানী নিলিতে বন্দুক হামলায় ১৪ জন শিয়া মুসলিম নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ৬ জন। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের আফগানিস্তান শাখা ইসলামিক স্টেট-খোরাসান (আইএস-কে) ঘটনার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে।

আফগানিস্তানের মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ দায়কুন্দির রাজধানী নিলিতে বন্দুক হামলায় ১৪ জন শিয়া মুসলিম নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ৬ জন। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের আফগানিস্তান শাখা ইসলামিক স্টেট-খোরাসান (আইএস-কে) ঘটনার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে ঘটেছে এ ঘটনা। হামলার কিছু সময় পর আইএসের মিডিয়া উইং আমাকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, “খিলাফত কায়েমে প্রতিজ্ঞবদ্ধ সৈনিকদের হামলায় কেন্দ্রীয় আফগানিস্তানে ১৪ জন শিয়া নিহত হয়েছে।”

আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারের প্রশাসনও হামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল মতিন কায়ানি এএফপিকে বলেন, “দায়কুন্দিতে কয়েক জন বেসামরিক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। কারা এই হামলা ঘটিয়েছে— তা এখনও জানা যায়নি।”

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিয়া মুসলিমদের পবিত্র ধর্মীয় সম্মেলন আরবাইনে যোগ দিতে ইরাকের কারবালায় গিয়েছিল দায়কুন্দিতে বসবাসরত শিয়াদের একটি দল। সেই দলটির ফিরে এসেছে গতকাল। যারা হতাহত হয়েছেন, তাদের সবাই কারবালা থেকে ফিরে আসা সেই দলের সদস্যদের পরিবার-পরিজন। কারবালা থেকে আগত স্বজনদের গ্রহণ করতেই তারা সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন। 

এ সময় একদল বন্দুকধারী মোটরসাইকেলে চেপে সেখানে আসেন এবং এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পুরো ঘটনাটি ঘটেছে খুব অল্প সময়ের মধ্যে।

দায়কুন্দি প্রাদেশিক পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঘটনার পর রাজধানী কাবুল থেকে তাদেরকে প্রদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা এবং সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, আইএসকে এবং তালেবান গোষ্ঠীর পারস্পরিক সম্পর্ক চরম বৈরী। ২০২১ সালের আগস্টে কাবুল দখলের পর থেকে আফগানিস্তানে তৎপরতা বেড়েছে আইএসকে। এই গোষ্ঠীটিকে দমনে কয়েকটি অভিযানও পরিচালনা করেছে তালেবান, কিন্তু সেসব অভিযান সফল হয়নি।

সূত্র : এএফপি, ফ্রান্স ২৪

এসএমডব্লিউ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *