ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শ্যালক-দুলাভাই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১২

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শ্যালক-দুলাভাই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১২

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় একটি মামলাকে কেন্দ্র করে শ্যালক ও দুলাভাইয়ের পক্ষের লোকজনদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়েছেন।  

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় একটি মামলাকে কেন্দ্র করে শ্যালক ও দুলাভাইয়ের পক্ষের লোকজনদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়েছেন।  

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামে ও রাতে চিকিৎসা নিতে এসে জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এ সংঘর্ষ হয়। 

সংঘর্ষে আহতরা হলেন—আনোয়ার (৫০), রাহিম (১৮), দ্বীন ইসলাম (২৪), শাকিল (২২), ময়না (৪০), ইসমাইল (১৫), মনির (৪৪), ইয়াসিন (২১) ও মনসুর (৩৫)।

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার গজারিয়া গ্রামের আনোয়ারের ছেলে দ্বীন ইসলামের স্ত্রী পারিবারিক কলহের জেরে ছয়জনের নাম উল্লেখ্য করে আখাউড়া আমলি আদালতে একটি যৌতুকের মামলা করেন। একই মামলায় মৃত শহীদ ভুঁইয়ার ছেলে মনির ও মনসুরকে আসামি করা হয়। মনির আনোয়ারের বোন জামাই হয়েও কেন মামলার বিষয়টি মনিরের কাছে গোপন রাখে—তা নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুইপক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়ান। এতে উভয়পক্ষের ১২ জন আহত হন। রাতে আহতদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে আবারও তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পরে সদর মডেল থানার পুলিশ এসে হাসপাতালের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ্ জানান, চিকিৎসা নিতে আসা দুইপক্ষের লোকজনই জরুরি বিভাগের ভেতরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। আমিসহ হাসপাতালের রোগী ও স্টাফরা আতঙ্কিত হয়ে যায়। এতে দীর্ঘক্ষণ চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হয়। পরে পুলিশ এসে পরিবেশ শান্ত করে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাফফর হোসেন বলেন, সন্ধ্যায় উভয়পক্ষের মধ্যে গজারিয়া গ্রামে সংঘর্ষ হয়। এ সময় ১০ থেকে ১২ জন আহত হন। আহতরা চিকিৎসা নিতে সদর হাসপাতালে এসে ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে  গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ সাপেক্ষে ও হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মাজহারুল করিম অভি/এএমকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *