কমালা হ্যারিসের সঙ্গে আর বিতর্কে অংশ নিতে রাজি নন ট্রাম্প

কমালা হ্যারিসের সঙ্গে আর বিতর্কে অংশ নিতে রাজি নন ট্রাম্প

আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। দুই দিন আগেই কমালা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প এবিসি টিভি চ্যানেলের বিতর্কে যোগ দিয়েছিলেন। সেই বিতর্ক সরাসরি দেখেছেন ছয় কোটি ৭০ লাখ মানুষ।

আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। দুই দিন আগেই কমালা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প এবিসি টিভি চ্যানেলের বিতর্কে যোগ দিয়েছিলেন। সেই বিতর্ক সরাসরি দেখেছেন ছয় কোটি ৭০ লাখ মানুষ।

তারপর দুজনেই আবার তাদের প্রচারে ফিরে গেছেন। বিশেষ করে যে সব রাজ্যে প্রবল লড়াই হতে পারে, সেখানে দুজনে প্রচারে জোর দিয়েছেন।

সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্প দাবি করেছেন, হ্যারিসের সঙ্গে টিভি বিতর্কে তিনিই জিতেছেন। সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে তিনি বলেছেন, ‘তৃতীয় কোনো বিতর্ক হবে না।’

ট্রাম্প প্রথমে বাইডেনের সঙ্গে টিভি বিতর্কে অংশ নেন। তখন বাইডেনই প্রেসিডেন্ট পদে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ছিলেন। সেই বিতর্কে বাইডেনের পারফরমেন্স শোচনীয় ছিল বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন এবং যার জেরে তিনি লড়াই থেকে সরে দাঁড়ান।

তারপর এখন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হয়েছেন কমালা হ্যারিস। তার সঙ্গে একবারই মুখোমুখি বিতর্কে নেমেছেন ট্রাম্প। ট্রাম্প দাবি করেছেন, ‘সমীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী, কমরেড কমালা হ্যারিসের বিরুদ্ধে আমিই বিতর্কে জিতেছি।’

অবশ্য বেশ কিছু সমীক্ষার মত হলো, বিতর্কে হ্যারিসই জয়ী হয়েছেন। ট্রাম্প বলেছেন, ‘ভাইস প্রেসিডেন্ট বরং তার কাজে মনোযোগ দিন।’

বিতর্কের পরেই ডেমোক্র্যাটরা ট্রাম্পকে আরেকটি বিতর্কের জন্য চ্যালেঞ্জ জানান। ট্রাম্প বলেছেন, ‘লড়াইয়ে হেরে যাওয়ার পর প্রথম কথাটা পরাজিত মানুষ বলেন, আমি আবার লড়তে চাই।’

ট্রাম্প এখন অ্যারিজোনায় প্রচার করছেন। এই রাজ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে। দুই প্রার্থীই এখান থেকে জয়ের আশা করছেন। সেখানে একটি জনসভায় ট্রাম্প বলেছেন, যদি নভেম্বর মাসের নির্বাচনে তিনি জিততে পারেন, তাহলে কর ছাঁটাই করবেন। সেক্ষেত্রে ওভারটাইমের ওপর কর তুলে নেওয়া হবে।

এর আগে তিনি বলেছিলেন, টিপসের ওপর কোনো কর বসানো হবে না। সেই প্রতিশ্রুতি এতো জনপ্রিয় হয় যে, হ্যারিসও একই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

অন্যদিকে নর্থ ক্যারোলিনায় এক জনসভায় কমালা হ্যারিস বলেছেন, ‘দুই রাত আগে আমি ও ট্রাম্প প্রথম বিতর্কে অংশ নিয়েছিলাম। আমি মনে করি, ভোটদাতাদের জন্য আরেকটি বিতর্কে আমরা দায়বদ্ধ।’

নর্থ ক্যারোলিনাও হচ্ছে সুইং স্টেট, যেখানে দুই প্রার্থীই জয়ের আশা করছেন।

রয়টার্স/আইপিএসওএস সমীক্ষা অনুসারে, ৫৩ শতাংশ মানুষ বলেছেন, তারা মনে করেন বিতর্কে হ্যারিস জিতেছেন, ২৪ শতাংশ মনে করেন ট্রাম্প জিতেছেন।

টিএম

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *