অবশেষে অধ্যক্ষের অপসারণ, তবুও আন্দোলন চালিয়ে নেওয়ার ঘোষণা

অবশেষে নোয়াখালীর আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. সৈয়দ জাকির হোসেনকে অপসারণ করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপ-সচিব দূর-রে-শাহনেওয়াজ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। 

তবে উপাধ্যক্ষসহ তিন শিক্ষক পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে নেওয়ার ঘোষণা শিক্ষার্থীদের। বর্তমানে মেডিকেল কলেজটিতে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নোয়াখালীর আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. সৈয়দ জাকির হোসেনকে বদলি করে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ গাজীপুরে অধ্যাপক হিসেবে পদায়ন করা হলো। জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।

জানা গেছে, গত রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে স্বৈরাচার আখ্যা দিয়ে মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ জাকির হোসাইন, উপাধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক রিয়াজ উদ্দিন ও সার্জারি বিভাগের শিক্ষক সৈয়দ কামরুল হোসাইনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি দেন শিক্ষার্থীরা। 

দাবি আদায়ে অবস্থান কর্মসূচিসহ ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন তারা। কালক্ষেপণ হলেও প্রশাসন নিশ্চুপ থাকায় শিক্ষার্থীরা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ও অধ্যক্ষসহ চার শিক্ষককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। ফলে কার্যত অচল অবস্থা বিরাজ করছে মেডিকেল কলেজটিতে। 

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আনাস বিন ইকবাল বলেন, আমরা অধ্যক্ষসহ চার শিক্ষককে অপসারণের দাবিতে স্মারক লিপি মন্ত্রণালয়ে দিয়েছি। অবশেষে অধ্যক্ষকে অপসারণ। আলহামদুলিল্লাহ এবং কৃতজ্ঞতা আমার প্রত্যেক বিপ্লবী ভাই ও বোনদের প্রতি। আপনাদের ধন্যবাদ দিয়ে শেষ করা যাবে না। তবে উপাধ্যক্ষসহ তিন শিক্ষক পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। বর্তমানে কমপ্লিট শাটডাউন চলছে। এটি অব্যাহত থাকবে।

 হাসিব আল আমিন/এমএসএ