স্বাস্থ্যের শীর্ষ পদ থেকে সরানো হলো রোবেদ আমিনকে

স্বাস্থ্যের শীর্ষ পদ থেকে সরানো হলো রোবেদ আমিনকে

‘অনিয়ম-দুর্নীতি আর ফ্যাসিবাদের দোসর তকমা নিয়েও তিনি শীর্ষ কর্তা!’

অবশেষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শীর্ষ পদ (মহাপরিচালক) থেকে অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিনকে সরিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। তার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেনকে। 

ডা. নাজমুল হোসেন স্বাস্থ্য শিক্ষার পাশাপাশি অতিরিক্ত এই দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। আর রোবেদ আমিনের পদায়ন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছে। 

আজ (বৃহস্পতিবার) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আবু রায়হান দোলন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই তথ্য জানানো হয়েছে। 

ডা. রোবেদ আমিনের নানা অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে গত ১০ সেপ্টেম্বর  ‘অনিয়ম-দুর্নীতি আর ফ্যাসিবাদের দোসর তকমা নিয়েও তিনি শীর্ষ কর্তা!’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে ঢাকা পোস্ট। 

অফিস আদেশে বলা হয়েছে, অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন (৪১২২৬), মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরকে তার নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে পুনারাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দায়িত্ব অর্পণ করা হলো। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। 

তবে রোবেদ আমিনের পরবর্তী পদায়নের বিষয়ে অফিস আদেশে কিছু উল্লেখ করা হয়নি।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিনকে নতুন কোনো প্রতিষ্ঠানে পদায়নের সম্ভাবনা খুবই কম। তিনি অবসরের পথ ধরতে পারেন।

রোবেদ আমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, শেখ হাসিনার পতনের আগে আওয়ামী লীগের মতোই ছাত্র-জনতার বিপক্ষে রাজপথে নেমেছিলেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) চিকিৎসকরা। ‘শান্তি সমাবেশ’ নামের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে ‘এক দফার কবর’ দিতে চেয়েছিলেন তারা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালকের দায়িত্ব পাওয়া রোবেদ আমিন এই প্লাটফর্মে যুক্ত ছিলেন। 

এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে আছে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ। এমনকি তার পদোন্নতি নিয়ে আছে চাকরি বিধিমালা লঙ্ঘনের সুস্পষ্ট অভিযোগও। ঢাকা পোস্টের অনুসন্ধানেও প্রমাণ পাওয়া গেছে এসব অভিযোগের। রোবেদ আমিনের আশপাশে থাকা কর্মকর্তারাই এখন তার বিরুদ্ধে কথা বলছেন।

টিআই/এনএফ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *