নাইজেরিয়ায় বাঁধ ভেঙে বন্যা, আক্রান্ত অন্তত ১০ লাখ মানুষ

নাইজেরিয়ায় বাঁধ ভেঙে বন্যা, আক্রান্ত অন্তত ১০ লাখ মানুষ

আফ্রিকার অন্যতম বৃহৎ দেশ নাইজেরিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ বোরনোতে একটি জলবিদ্যুৎকেন্দ্রের বাঁধ ভেঙে পড়ায় ব্যাপক বন্যা শুরু হয়েছে প্রদেশটির বিভিন্ন এলাকায়। প্রবল বর্ষণের জেরে গত সোমবার গভীর রাতের দিকে বাঁধটি ভেঙে পড়েছে বলে জানিয়েছেন বোরনোর সরকারি কর্মকর্তারা।

আফ্রিকার অন্যতম বৃহৎ দেশ নাইজেরিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ বোরনোতে একটি জলবিদ্যুৎকেন্দ্রের বাঁধ ভেঙে পড়ায় ব্যাপক বন্যা শুরু হয়েছে প্রদেশটির বিভিন্ন এলাকায়। প্রবল বর্ষণের জেরে গত সোমবার গভীর রাতের দিকে বাঁধটি ভেঙে পড়েছে বলে জানিয়েছেন বোরনোর সরকারি কর্মকর্তারা।

বন্যায় হতাহতের সংখ্যা সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি; তবে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রাদেশিক রাজধানী মাইদুগুরিসহ বিভিন্ন শহর এবং গ্রামের পর গ্রাম বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিপুল পরিমাণ জমির ফসল এবং হাজার হাজার বাড়িঘর বাড়িঘর।

আরও বিপদ হলো—বন্যার পানির সঙ্গে লোকালয়ে ভেসে এসেছে সাপ এবং কুমির। বোরনো প্রদেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত দুই দশকের মধ্যে সেখানে এত ভয়াবহ বন্যা দেখা যায়নি।

আলজাজিরার নাইজেরিয়া প্রতিনিধি আহমেদ ইদ্রিস জানিয়েছেন, দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশিক শেত্তিমা মঙ্গলবার বিকেলের কয়েকটি বন্যা উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শনে এসেছিলেন এবং বন্যা উপদ্রুতদের খাবার, আশ্রয় ও ওষুধ বিতরণ করা হবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তার সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বুধবার কিছু ত্রাণসামগ্রী এসেছে, কিন্তু প্রয়োজনের তুলনা তা নিতান্তই অপ্রতুল।

বুধবার বোরনোর বাগাসি বন্যার্ত আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শনে এসেছিলেন প্রদেশটির গভর্নর বাবাগানা জুলুম। সেখানে সাংবাদিকদের তিনি জানান, প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষ এই এই মুহূর্তে বন্যা পরিস্থিতির পর্যালোচনা করছে এবং শিগগিরই ত্রাণ তৎপরতা শুরু হবে।

“আপনার দেখছেন যে প্রদেশের অধিকাংশ এলাকা বন্যার পানিতে ডুবে গেছে; আমাদের পয়োনিষ্কাষন ব্যবস্থাও প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। এর অর্থ শিগগিরই বন্যা উপদ্রুত এলাকাগুলোতে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব শুরু হবে,” সাংবাদিকদের বলেন বাবাগানা জুলুম।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে নাইজেরিয়ার বিভিন্ন প্রদেশে বন্যা হয়েছে। এসব বন্যায় সম্মিলিত প্রাণহানির হার ২৩০ জন ছাড়িয়ে গেছে বলে আলজাজিরাকে জানিয়েছেন নাইজেরিয়ার দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের কর্মকর্তারা।

সরকারি তথ্য অনুসারে, গত আগস্টে শেষ দিকে নাইজেরিয়ার তিন প্রদেশ জিগাওয়া, আদামাওয়া এবং তারাবাতে যে বন্যা হয়েছিল, তাতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৪৯ জন।

সূত্র : আলজাজিরা

এসএমডব্লিউ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *