বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের চাপে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ ও দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। এদিকে সরকার প্রধানের পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার খবরে পার্বত্য জেলা বান্দরবানে অনন্দ মিছিল করেছে জেলার ছাত্র থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের চাপে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ ও দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। এদিকে সরকার প্রধানের পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার খবরে পার্বত্য জেলা বান্দরবানে অনন্দ মিছিল করেছে জেলার ছাত্র থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ।
সোমবার (৫ আগস্ট) এই আনন্দ মিছিল রুপ নেয় সহিংসতায় মিছিলকারী বিক্ষুব্ধ জনতা বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের মুর্যাল স্ট্যাচু গুড়িয়ে দেয়, জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এছাড়া দুর্বৃত্তরা বান্দরবান প্রেসক্লাবেও হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় পদে থাকা প্রথম সারির কয়েকজন নেতার বাসায়ও হামলার খবর পাওয়া যায়। আতঙ্কিত আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই আত্মগোপনে চলে যান।
এদিকে গতকাল সোমবার বিকেলে জেলার রাজার মাঠ এলাকায় দুর্বৃত্ততরা বান্দরবান ৩০০নং আসনের সাংসদ ও সাবেক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিংয়ের বাসভবনে হামলা চালিয়ে গাড়ি ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে পরে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে পরিস্থিতি শান্ত হয়।জেলা সদরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় সেনা টহল জোরদার করা হয়।
গতকাল সন্ধ্যায় রাষ্ট্র পতির দেওয়া ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সরকারি সাধারণ ছুটি বাতিল হওয়ায় সরকারি দপ্তরগুলোতে যথারীতি কার্যক্রম শুরু করে। তবে সকালে বান্দরবান থেকে দূরপাল্লার কোনো যানবাহন এখনো ছাড়তে দেখা যায়নি।
তবে সস্প্রীতির বান্দরবানে যেন সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও হানাহানি রক্তপাত না ঘটে এমনটাই প্রত্যাশা করছেন সাধারণ মানুষ।
শহীদুল ইসলাম/আরকে