ট্রাক শ্রমিকের মৃত্যু, সাবেক এমপি একরামুলসহ ৫৩ জনের নামে মামলা

ট্রাক শ্রমিকের মৃত্যু, সাবেক এমপি একরামুলসহ ৫৩ জনের নামে মামলা

নোয়াখালীতে ট্রাক শ্রমিক মো. খোকন (১৭) হত্যার অভিযোগে নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগের ৫৩ জন নেতাকর্মীর নামে থানায় মামলা হয়েছে। এই মামলায় অজ্ঞাত আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

নোয়াখালীতে ট্রাক শ্রমিক মো. খোকন (১৭) হত্যার অভিযোগে নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগের ৫৩ জন নেতাকর্মীর নামে থানায় মামলা হয়েছে। এই মামলায় অজ্ঞাত আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিহত শ্রমিকের বাবা মজিবুল হক বাদী হয়ে সুধারাম মডেল থানায় এই মামলা করেন।

মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন, সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদ পিন্টু, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন জেহানকেও আসামি করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, নিহত খোকন পেশায় একজন ট্রাক শ্রমিক ছিলেন। ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি-জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করে। ওই কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপি ও জামায়াতের কর্মী-সমর্থকরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করার জন্য সদর উপজেলার দত্তেরহাট দত্ত বাড়ির মোড়ে জমায়েত হন। খোকন তখন নিজের বাড়ি থেকে দত্তেরহাট শ্রমিক ইউনিয়ন অফিসে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। একপর্যায়ে খোকন সোনাপুর-মাইজদীর প্রধান সড়কে গেলে সাবেক এমপি একরামুল, সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শামছুদ্দিন জেহান, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদ পিন্টু, নোয়াখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র শহীদ উল্যাহ খান সোহেল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন, আওয়ামী লীগ নেতা সিএনজি কামাল, পৌর কাউন্সিলর নাসিম উদ্দিন সুনাম, আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল ইসলামসহ অন্যান্য আসামিরা বিএনপি জামায়াতের শান্তিপূর্ণ মিছিল দত্তেরহাট পোলের কাছাকাছি পৌঁছলে হত্যার উদ্দেশে অতর্কিত হামলা করে।  তখন ১ থেকে ২০ নম্বর আসামিরা তাদের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকলে খোকন গুলিবিদ্ধ হয়।

মামলায় আরও বলা হয়েছে, খবর পেয়ে নিহত শ্রমিকের বাবা ঘটনাস্থলে গেলে আসামিরা তাকে মারধর করে তার ছেলেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এরপর তাকে মৃত ভেবে গুম করার জন্য ময়লাযুক্ত খালে মরদেহ ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এরপর সুধারাম থানায় মামলা করতে গেলে আসামিদের রাজনৈতিক প্রভাবে পুলিশ নিহতের বাবার মামলা না নিয়ে পুলিশ নিজে বাদী হয়ে মামলা করেন। পরবর্তীতে পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রদান করে। মামলার বাদী অভিযোগ করেন, যার কারণে তিনি তার ছেলে হত্যার বিচার পাননি।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি  ঢাকা পোস্টকে বলেন, মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হাসিব আল আমিন/এএমকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *