জাতীয় সঙ্গীত গাইবেন না নতুন কোচ, ইংল্যান্ডে তোলপাড়

জাতীয় সঙ্গীত গাইবেন না নতুন কোচ, ইংল্যান্ডে তোলপাড়

গ্যারেথ সাউথগেট ইংল্যান্ডের কোচের পদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়ার পরই ইংলিশ ফুটবলের নতুন কোচের পদে এসেছেন লি কার্সলি। আজ রাতেই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু করবেন নিজের যাত্রা। কিন্তু নিজের প্রথম ম্যাচের আগেই গণ্ডগোল বাঁধিয়েছেন এই ইংলিশ কোচ। নিজের প্রথম ম্যাচে তার সামনে প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড। আর সেই ম্যাচেই জাতীয় সঙ্গীত গাইবেন না বলে জানিয়েছেন লি কার্সলি। 

গ্যারেথ সাউথগেট ইংল্যান্ডের কোচের পদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়ার পরই ইংলিশ ফুটবলের নতুন কোচের পদে এসেছেন লি কার্সলি। আজ রাতেই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু করবেন নিজের যাত্রা। কিন্তু নিজের প্রথম ম্যাচের আগেই গণ্ডগোল বাঁধিয়েছেন এই ইংলিশ কোচ। নিজের প্রথম ম্যাচে তার সামনে প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড। আর সেই ম্যাচেই জাতীয় সঙ্গীত গাইবেন না বলে জানিয়েছেন লি কার্সলি। 

লি কার্সলিকে নিয়ে এমন বিরোধের পেছনে বড় কারণ, প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে রক্তের সম্পর্ক রয়েছে ইংলিশ কোচের। কার্সলির পিতামহ এবং পিতামহী দুজনেই ছিলেন আইরিশ। ইংল্যান্ডের নাগরিক হয়েও লি কার্সলি আয়ারল্যান্ডের জার্সিতে খেলেছেন ৪০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ। 

ইংল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ডের মধ্যেকার বিরোধ চলছে প্রায় শতবছর ধরে। রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে দেশ দুটির মাঝে বিরোধ রয়েছে। আয়ারল্যান্ড ১৯২২ সালে যুক্তরাজ্য থেকে বেরিয়ে আসে। যদিও নর্দান আয়ারল্যান্ড এখন পর্যন্ত গ্রেট ব্রিটেনের অংশ। স্বাভাবিকভাবেই দুই দেশের মাঝে বৈরীতা এখন পর্যন্ত টিকে আছে। যা প্রভাব ফেলে দেশদুটির খেলার মাঝেও। 

তবে লি কার্সলি জানিয়েছেন, এমন কোনো কারণে জাতীয় সঙ্গীত থেকে দূরে থাকছেন না তিনি। জানালেন ম্যাচের দিকে মনোযোগ ধরে রাখতেই তার এমন সিদ্ধান্ত, এটা (জাতীয় সঙ্গীত) এমন এক বিষয়, যা আয়ারল্যান্ডের হয়ে খেলার সময়েও আমাকে মোকাবেলা করতে হয়েছিল। ওয়ার্ম-আপ থেকে ম্যাচের মধ্যের সময়টা, পিচে যাওয়া আর গানের জন্য অপেক্ষা… আমি এসব কিছু করিনি আগে। আমি কেবল খেলা আর খেলায় আমি প্রথম কী ভূমিকা নেবো তা নিয়েই ভেবেছি সবসময়।’ 

লি কার্সলি জানালেন কোচ হিসেবেও এমনই থাকতে চান তিনি। সঙ্গে এও বলেছেন, আয়ারল্যান্ডের জাতীয় সঙ্গীতেও চুপ থাকবেন তিনি, ‘আমি সত্যিই খেলার প্রতি মনোযোগী ছিলাম আর এটা এমন এক স্বভাব যা আমি কোচ হিসেবেও ধরে রাখতে চেয়েছি। আইরিশ জাতীয় সঙ্গীতের বেলাতেও এমন ঘটনা ঘটবে।’ 

কিন্তু লি কার্সলির মন্তব্যে মন ভরছে না ইংলিশদের। ইংল্যান্ডের একাধিক প্রভাবশালী পত্রিকা সরাসরিই নতুন এই কোচের পদত্যাগ দাবি করেছে। ডেইলি টেলিগ্রাফের ভাষ্য, যদি লি কার্সলি জাতীয় সঙ্গীত চলার সময়ে নিশ্চুপ থাকেন, তবে তার জাতীয় দলের কোচ হওয়ারই যোগ্যতা নেই। ডেইলি মেইলে প্রকাশিত লেখাতেও বলা হয়, ‘এফএ-এর উচিত এখনই তাকে বহিষ্কার করা।’ 

জেএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *