মাগুরা সদর হাসপাতালে অনিয়ম, ব্যবস্থা নিতে ছাত্রদের স্মারকলিপি

মাগুরা সদর হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে সাত দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মাগুরা জেলা শাখার প্যাডে সাত দফা দাবি উল্লেখ করে তারা মাগুরা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. মোহসিন উদ্দিনের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেন।

স্মারকলিপিতে তারা উল্লেখ করেন, হাসপাতালের আরএমও ডা. বিকাশ শিকদার ও বিএমও ডা. জয়ন্ত কুন্ডু রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে একই হাসপাতালে দীর্ঘদিন অবৈধভাবে অবস্থানের মাধ্যমে বিভিন্ন সেক্টর জিম্মি করে পুরো ব্যবস্থাকে দুর্নীতিগ্রস্ত করে রেখেছেন। দীর্ঘদিন ধরে যেটি স্থানীয়ভাবে ‘দাদা সিন্ডিকেট’ নামে পরিচিত। হাসপাতালের সুব্যবস্থাপনা নিশ্চিতে এই কর্মকর্তাদেরকে অতি দ্রুত অপসারণ এবং তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। ২৪ ঘণ্টা প্যাথলজি বিভাগ চালু রাখার ব্যবস্থা করা, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের হাসপাতালে রাত্রে অবস্থানের যথাযথ ব্যবস্থা করা, স্টোরের ক্রয়কৃত মালামালের সঠিক তদারকি নিশ্চিত করা, নিম্নমানের ঔষধ সরবরাহ বন্ধ করা ও ঠিকাদারের কাছ থেকে কন্ট্রাক্টকৃত সব ঔষধ সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং সঠিকভাবে রোগীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া।

আরও উল্লেখ করা হয়, ‘দাদা সিন্ডিকেট’ এর অন্যতম সদস্য স্টোরম্যান, গৌতমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে অপসারণের ব্যবস্থা করা।  মাগুরা মেডিকেল কলেজের ডাক্তারদের হাসপাতালে রোগী দেখার সুব্যবস্থা করে দেওয়ার মাধ্যমে আপাতত ডাক্তার সংকট নিরসন করা।

স্মারকলিপি দেওয়ার সময় উপস্থিত শিক্ষার্থী সাদিকুর রহমান খান বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রস্তাবিত ৭ দফা বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়া হলে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

মাগুরা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. মোহসিন উদ্দিন বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্যাডে সাত দফা উল্লেখ করে ছাত্ররা স্মারকলিপি দিয়েছেন। বিষয়টি যাচাই বাছাই করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে গত মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মাগুরা জেলা শাখার প্যাডে দুই দফা দাবি উল্লেখ করে তারা মাগুরা পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেন।

এফআরএস