ইনকিলাব মঞ্চের কেন্দ্রীয় মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি বলেছেন, বাংলাদেশের নদীর মুখে ভারত যতগুলো বাঁধ নির্মাণ করেছে, তার সবগুলো বাঁধ ভেঙে ফেলতে হবে। কারণ আন্তর্জাতিক আইনে কোনো দেশ এককভাবে বাঁধ নির্মাণ করতে পারে না। আন্তর্জাতিক নদীতে এভাবে বাঁধ দিয়ে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করতে পারে না ভারত।
ইনকিলাব মঞ্চের কেন্দ্রীয় মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি বলেছেন, বাংলাদেশের নদীর মুখে ভারত যতগুলো বাঁধ নির্মাণ করেছে, তার সবগুলো বাঁধ ভেঙে ফেলতে হবে। কারণ আন্তর্জাতিক আইনে কোনো দেশ এককভাবে বাঁধ নির্মাণ করতে পারে না। আন্তর্জাতিক নদীতে এভাবে বাঁধ দিয়ে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করতে পারে না ভারত।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কুমিল্লা টাউনহল মাঠের মুক্তমঞ্চে ভারতের ত্রিপুরার ডুম্বুর বাঁধ অভিমুখে লং মার্চ শুরুর আগে আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশ-ভারত আন্তঃসীমান্ত নদীতে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ভারতের অবৈধভাবে বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগ থেকে লং মার্চ শুরু করে শুক্রবার দুপুরে কুমিল্লা টাউনহল মাঠে এসে পৌঁছায় ইনকিলাব মঞ্চের টিম।
বিশিষ্ট রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিত্ব কাজী দ্বীন মোহাম্মদের সভাপতিত্বে ও ইনকিলাব মঞ্চ, কুমিল্লার আহ্বায়ক গোলাম সামদানীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন, বিশিষ্ট ইসলামিক বক্তা মাওলানা মোশতাক আহমেদ ফরায়াজি, ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য মিয়া মুহাম্মদ তৌফিক, নিজাম উদ্দিন কায়সার প্রমুখ।
সমাবেশে ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিনিধিরা বলেন, একটা ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতা ব্যবহার করে পুরো দেশকে আয়নাঘর তৈরি করে রেখেছিল। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি। এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
সমাবেশ শেষে ভারতবিরোধী নানা স্লোগান মুখে শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ কুমিল্লার বিবিরবাজার সীমান্ত অভিমুখে লংমার্চ শুরু করে। কিন্তু পরে কুমিল্লার নূরপর মোড় পর্যন্ত গেলে পুলিশ নিরাপত্তাজনিত কারণে তাদেরকে ফেরত পাঠায়। পুলিশের অনুরোধে লংমার্চকারীরা নূরপুর চৌমুহনী থেকে ফিরে লংমার্চ সমাপ্ত ঘোষণা করেন।
আরিফ আজগর/এএমকে
