রাজু ভাস্কর্যে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান মুছে দিলো শিক্ষার্থীরা

রাজু ভাস্কর্যে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান মুছে দিলো শিক্ষার্থীরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পেছনে মেট্রোরেলের স্প্যামে লেখা ‘জয় বাংলা বলে আগে বাড়ো’ লেখাটি মুছে দিয়ে এর জায়গায় ‘চির উন্নত মম শির’ লিখে টিএসসি এলাকায় ছাত্রলীগের শেষ স্মৃতিচিহ্ন মুছে দিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পেছনে মেট্রোরেলের স্প্যামে লেখা ‘জয় বাংলা বলে আগে বাড়ো’ লেখাটি মুছে দিয়ে এর জায়গায় ‘চির উন্নত মম শির’ লিখে টিএসসি এলাকায় ছাত্রলীগের শেষ স্মৃতিচিহ্ন মুছে দিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ জন শিক্ষার্থী লেখাটি মুছে দিয়ে সেখানে নতুন পঙ্‌ক্তি লেখেন। এর আগে তারা ১৭ আগস্ট লেখাটি মুছে ফেলার উদ্যোগ নিলেও দেশে বন্যা পরিস্থিতির কারণে তা পিছিয়ে যায়। 

এই কাজে নেতৃত্ব দেওয়া ৬ শিক্ষার্থীর একজন হলেন এস. এম. এহসান উল্লাহ (ধ্রুব)। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পেছনে মেট্রোরেলে ফ্যাসিবাদের দলীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’ লেখা ছিল। স্বৈরাচার তার অস্তিত্ব বিভিন্নভাবে মানুষের মনস্তত্ত্বে ঢুকিয়ে দিতে চায়। তারই প্রতীক হিসেবে ক্যাম্পাসের সব থেকে দৃশ্যমান স্থানে ছিল এই লেখা। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্বৈরাচারের সকল সিম্বলিক নিদর্শনগুলোকে মুছে ফেলতে চাই। যেন স্বৈরাচার কোনোভাবেই পুনরায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে।

তিনি বলেন, আমরা তারই অংশ হিসেবে ‘জয় বাংলা’ লেখাটি মুছে দিয়ে সেখানে আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতার অমর পঙ্‌ক্তি ‘চির উন্নত মম শির’ লিখে দিয়েছি। এই লেখার মাধ্যমে আমরা সবাইকে বারবার মনে করিয়ে দিতে চাই যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কখনোই স্বৈরাচারের কাছে মাথা নত করে না। ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় ২০২৪ এ-ও তা পুনরায় প্রমাণিত। সুতরাং ভবিষ্যতেও যদি কোন ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের মাথা উঁচু রেখে প্রতিবাদ জারি রাখবে।

প্রসঙ্গত, এর আগে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালগুলো থেকে ছাত্রলীগের লেখা মুছে দিয়ে সেখানে জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি আঁকা হয়। সেদিন টিএসসির ভেতরে থাকা ‘ভয় কি পদাতিক’ লেখাটিও মুছে দেওয়া হলেও অধিক উচ্চতায় মেট্রোরেলের স্প্যামে ‘জয় বাংলা বলে আগে বাড়ো’ লেখাটি মুছতে পারেনি শিক্ষার্থীরা। আজ এই লেখাটি মুছে দেওয়ার মাধ্যমে ছাত্রলীগের শেষ গ্রাফিতি ও দেয়াল লিখন মুছে দিলো শিক্ষার্থীরা। 

কেএইচ/পিএইচ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *