সাংবাদিককে মারধর : বিএনপির দুজন ও আ.লীগের একজনের বিরুদ্ধে মামলা

সাংবাদিককে মারধর : বিএনপির দুজন ও আ.লীগের একজনের বিরুদ্ধে মামলা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া ও জাগো নিউজের স্টাফ রিপোর্টার নাহিদ হাসানের ওপর হামলার ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়েছে। ডুজা সভাপতি বাদী হয়ে বিএনপির দুই নেতা ও আওয়ামী লীগের একজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪০-৫০ জনকে আসামি করে এ মামলা করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া ও জাগো নিউজের স্টাফ রিপোর্টার নাহিদ হাসানের ওপর হামলার ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়েছে। ডুজা সভাপতি বাদী হয়ে বিএনপির দুই নেতা ও আওয়ামী লীগের একজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪০-৫০ জনকে আসামি করে এ মামলা করেন।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। তবে এ মামলায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

মামলায় অভিযুক্ত তিন আসামি হলেন– শাহবাগ থানা বিএনপির ২০নং ওয়ার্ড সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম স্বপন, শাহবাগ থানার ১৯ ও ২০নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর রোকসানা ইসলাম চামেলির স্বামী আবুল হোসেন টাবু, শাহবাগ থানা বিএনপির ২০নং ওয়ার্ডের আহ্বায়ক মাসুদ ইউসুফ।

ঘটনার বিবরণীতে আল সাদী ভূঁইয়া বলেন, ৩ তারিখ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আমি ও নাহিদ হাসান, স্টাফ রিপোর্টার, জাগো নিউজ-২৪ ডট কম বঙ্গ ইসলামীয়া সুপার মার্কেটে কেনাকাটার জন্য যাই। ওই মার্কেটের মালিকের ছেলে সৈয়দ আসিফুল ইসলাম সজল পূর্ব পরিচিত থাকায় আমরা মার্কেটের চতুর্থ তলায় তার অফিসে যাই।

একই দিন বিকেল ৫টায় ওই অফিসে বিবাদীরা হাতে লাঠিসোঁটা, রড, ডিআই পাইপ, রামদা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে যায় এবং আমাদের পরিচয় জানতে চায়। তখন আমরা নিজেদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক পরিচয় দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে যায় এবং হত্যার উদ্দেশ্যে বিবাদীরা আমাদের মাথায় ইট ও বাঁশ দিয়ে আঘাত করে এবং লাথি দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। এরপর তাদের হাতে থাকা অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্তাক্ত জখম করে।

১নং বিবাদী আমার মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে এবং লাথি দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। পরে অন্যান্য বিবাদীরা আমাকে তাদের হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে মারধর করে। ২নং বিবাদী বাঁশ দিয়ে নাহিদ হাসানকে মাথায় আঘাত করে মাটিতে ফেলে দেয়। ৩নং বিবাদীর নেতৃত্বে অজ্ঞাত বিবাদীরা আমাদের দুজনকে নিচে পড়ে থাকা অবস্থায় হত্যার উদ্দেশ্য দীর্ঘক্ষণ মারধর করে।

অভিযোগে বলা হয়, তাদের সঙ্গে থাকা তিনটি মোবাইল ও নগদ ১৫ হাজার টাকা, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাঁচটি এটিএম কার্ড, অফিস আইডি কপি, বাইকের চাবি নিয়ে যায় হামলাকারীরা।

এ বিষয়ে মামলার দায়িত্বে থাকা শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক সাইমুম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা আসামিদের ধরতে কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালিয়েছি। তবে তারা এলাকায় নেই, হয়ত অন্য কোথাও আত্মগোপন করেছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করি খুব দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে কোর্টে তুলতে পারব।

কেএইচ/এসএসএইচ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *