বন্যায় কুমিল্লায় ৮৭৯ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত

বন্যায় কুমিল্লায় ৮৭৯ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত

স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় কুমিল্লায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পানি কমতে শুরু করায় ভেসে ওঠতে শুরু করেছে ক্ষতির চিহ্ন। বন্যার ভয়াবহতা থেকে বাদ যায়নি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও। চলমান বন্যায় জেলায় ৮৭৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় কুমিল্লায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পানি কমতে শুরু করায় ভেসে ওঠতে শুরু করেছে ক্ষতির চিহ্ন। বন্যার ভয়াবহতা থেকে বাদ যায়নি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও। চলমান বন্যায় জেলায় ৮৭৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা শিক্ষা অফিস ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বন্যায় জেলায় ৬৩৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ২৪০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মধ্যে ১০৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ২২৩টি উচ্চ বিদ্যালয় পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়া এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম সংস্কার বা মেরামতের আগে চালানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে আদর্শ সদর উপজেলায় ১৮টি, লাকসামে ৬৭টি, চৌদ্দগ্রামে ১০৫টি আংশিক এবং ৬৮টি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত, ব্রাহ্মণপাড়ায় ৮০টি আংশিক এবং ১২টি পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত, বুড়িচংয়ে ৬৫টি আংশিক এবং দুইটি পুরোপুরি, নাঙ্গলকোটে ৮০টি, মনোহরগঞ্জে ৮৯টি আংশিক এবং ১১টি পুরোপুরি, লালমাই উপজেলায় ১৪টি আংশিক ও ১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া বরুড়া, তিতাস ও মুরাদনগরে ১৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবে তুলনামূলক কম।

জেলা শিক্ষা অফিস জানিয়েছে, জেলার মোট ২৪০টি উচ্চ বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব বিদ্যালয়ের মধ্যে ২২৩টিতে পাঠদান কার্যক্রম চালু করা যাবে না। এ ছাড়া ১৭টিতে আংশিক ক্ষতি হয়েছে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্তসহ জেলার মোট ৪৯০টি উচ্চ বিদ্যালয়ে পাঠদান চালু করা যাবে।

কুমিল্লা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. সফিউল আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজ করে পাঠদান উপযোগী করার আবেদন করা হয়েছে।

জেলা শিক্ষা অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বন্যার পানি পুরোপুরি নেমে যাওয়ার পর ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান কার্যক্রম চালুর চেষ্টা চলছে।

আরিফ আজগর/এমজেইউ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *