চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ কে এম ফজলুল্লাহর পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চলছে। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে সংস্থাটির কার্যালয় ঘেরাও করে একদল লোক। সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করছে।
চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ কে এম ফজলুল্লাহর পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চলছে। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে সংস্থাটির কার্যালয় ঘেরাও করে একদল লোক। সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করছে।
এর আগে আওয়ামী লীগের দালাল আখ্যা দিয়ে ওয়াসা এমডির পদত্যাগ দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয় আন্দোলনকারীরা। কিন্তু তাতে পদত্যাগের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি এমডি ফজলুল্লাহ। তার দাবি তবে সরকার তাকে নিয়োগ দিয়েছে। এজন্য সরকারের সিদ্ধান্ত বা আদেশ ছাড়া তিনি পদত্যাগ করবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।
সবশেষ তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলবার দুপুরে সংস্থাটির কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিয়ে । শ্রমিকদলের পরিচয় দিয়ে ওয়াসারই কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিক্ষোভকারীদের বাধা দেন এবং বিক্ষোভকারীদের আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের দালাল বলে অবিহিত করেন। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর একটি টিম পৌঁছেছে।
আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যুক্ত কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার দোসর চট্টগ্রাম ওয়াসা এমডি ফজলুল্লাহর পদত্যাগের দাবিতে রোববার ঘোষিত ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম শেষ হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে ওয়াসার এমডি পদত্যাগ করেনি, সরকারের পক্ষ থেকেও সরানো হয়নি তাকে। এমতাবস্থায় সচেতন নগরবাসী ওয়াসা এমডি ফজলুল্লাহকে চট্টগ্রামে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা করছে।
গত বছরের শেষের দিকে অষ্টমবারের মতো এমডি হিসেবে তিন বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয় এ কে এম ফজলুল্লাহকে। এর আগে সংস্থাটিতে প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। ২০০০ সালে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে সংস্থাটি থেকে অবসর নেন ফজলুল্লাহ। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দুই বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
২০১১ সালে ঢাকা ওয়াসার আদলে চট্টগ্রাম ওয়াসাতেও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ তৈরি করা হয়। ওয়াসা বোর্ডও পুনর্গঠন করা হয়।তখন এমডি পদে নিয়োগ পান তৎকালীন চেয়ারম্যান এ কে এম ফজলুল্লাহ। সেই থেকে এমডি পদে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
এমআর/এমএ