ওয়ান ব্যাংক পিএলসির পরিচালক সাঈদ হোসাইন চৌধুরীকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এ আদেশ দেন। অন্য ব্যাংকের ঋণখেলাপি হিসেবে সাব্যস্ত হওয়ায় আইনানুযায়ী তার বিরুদ্ধে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
ওয়ান ব্যাংক পিএলসির পরিচালক সাঈদ হোসাইন চৌধুরীকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এ আদেশ দেন। অন্য ব্যাংকের ঋণখেলাপি হিসেবে সাব্যস্ত হওয়ায় আইনানুযায়ী তার বিরুদ্ধে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
সাঈদ হোসাইন চৌধুরীকে এইচআরসি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। ১২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা খেলাপি ঋণ আদায়ের জন্য ২০২২ সালে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড। ওই মামলার সাঈদ হোসাইনের স্ত্রী ফারজানা চৌধুরীকেও আসামি করা হয়েছে।
আজ (সোমবার) চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতে মামলাটির বাদী নথি উপস্থাপনের জন্য বিশেষ আবেদন করেন। এ দিন সাঈদ হোসাইন ও তার স্ত্রী ফারজানা চৌধুরীর শেয়ারসমূহ রায়ের আগেই ক্রোকের আবেদন করে বাদীপক্ষ।
আদালত আদেশে উল্লেখ করেন যে, ওয়ান ব্যাংক লিমিটেডের ২০২৩ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সাঈদ হোসাইন ব্যাংকটির পরিচালক পদে রয়েছেন। কিন্তু একজন ঋণখেলাপি ব্যাংকিং কোম্পানি আইনানুযায়ী কোনো ব্যাংকের পরিচালক পদে থাকার যোগ্য নন। কিন্তু আইন লঙ্ঘন করে তিনি ওয়ান ব্যাংক পিএলসির পরিচালক পদে রয়েছেন। এটি ব্যাংক ও আর্থিক খাতে সুশাসনের ঘাটতিকে স্পষ্ট করে তোলে। ঋণখেলাপি হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোতে (সিআইবি) নাম অর্ন্তভুক্ত হওয়ার পরও ওয়ান ব্যাংকে সাঈদ হোসাইন চৌধুরীর পরিচালক পদে বহাল থাকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিগত অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে।
তাই ব্যাংকিং কোম্পানি আইনের ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতার প্রয়োগ করে সাঈদ হোসাইনকে ওয়ান ব্যাংকের বোর্ড অব ডিরেক্টরস থেকে অপসারণ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আদেশের কপি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বরাবরে পাঠানো হোক।
আদেশে আদালত আরও বলেন, একই সঙ্গে আপত্তি দাখিল না করা পর্যন্ত বাদীর আবেদনে উল্লিখিত শেয়ারসমূহ হস্তান্তর না করার জন্য বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া গেল। বিবাদীরা শেয়ারসমূহ যাতে হস্তান্তর করতে না পারেন, সে জন্য আদেশের কপি আবেদনের তফশিল-১ এ বর্ণিত প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর পাঠানো হোক।
এমআর/কেএ