রাজবাড়ীতে ৩ পয়েন্টে কমেছে পদ্মার পানি

রাজবাড়ীতে ৩ পয়েন্টে কমেছে পদ্মার পানি

ভারত ফারাক্কার ১০৯টি বাঁধের গেট খুলে দিলেও এখনও রাজবাড়ীতে বাড়েনি পদ্মার পানি। গত দুই দিনের তথ্য মতে তিনটি গেজস্টেশন পয়েন্টে পদ্মার পানি কমেছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) রাজবাড়ী।

ভারত ফারাক্কার ১০৯টি বাঁধের গেট খুলে দিলেও এখনও রাজবাড়ীতে বাড়েনি পদ্মার পানি। গত দুই দিনের তথ্য মতে তিনটি গেজস্টেশন পয়েন্টে পদ্মার পানি কমেছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) রাজবাড়ী।

এদিকে বাঁধ খুলে দেওয়ায় পদ্মার তীরবর্তী বাসিন্দারা চরম আতঙ্কে থাকলেও এখন পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি না পাওয়ায় অনেকটাই স্বস্তিতে আছেন তারা।

রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পওর বিভাগ) উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান জানান, গত ১৫ ঘণ্টায় পাংশার সেনগ্রাম গেজস্টেশন পয়েন্ট, সদরের মহেন্দ্রপুর গেজস্টেশন পয়েন্ট এবং গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি কমেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড রাজবাড়ীর তথ্য মতে, বুধবার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকাল ৯টা পর্যন্ত রাজবাড়ীর তিনটি পয়েন্টেই পানি কমেছে দশমিক ৬ সেন্টিমিটার করে।

সেনগ্রাম গেজস্টেশন পয়েন্টে বর্তমান পানি আছে ৮ দশমিক ৯৭ সেন্টিমিটার। যা গতকাল ছিল ৯ দশমিক ০৩ সেন্টিমিটার।  মহেন্দ্রপুর গেজস্টেশন পয়েন্টে পানি বর্তমানে পানি আছে ৭ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটার। যা গতকাল ছিল ৮ দশমিক ০১ সেন্টিমিটার।  আর দৌলতদিয়া গেজস্টেশন পয়েন্টে পানি আছে ৬ দশমিক ৭২ সেন্টিমিটার। যা গতকাল ছিল ৬ দশমিক ৭৮ সেন্টিমিটার।

প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ফারাক্কা ব্যারেজের পানি রাজবাড়ীর পদ্মা নদীতে আসতে ২ থেকে ৩ দিন সময় লাগতে পারে। পানি বাড়লে রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট, মিজানপুর, খানগঞ্জ, কালুখালীর রতনদিয়া, হরিণবাড়িয়া, পাংশার বাহাদুরপুর, হাবাসপুর ও গোয়ালন্দের দেবগ্রাম এবং দৌলতদিয়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হতে পারে।

তবে পানি রাজবাড়ী শহর রক্ষার বেড়িবাঁধ পার হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। কারণ পানি বেড়িবাঁধ পাড় হতে গেলে নদীতে অন্তত ১৭ ফিট পানি বাড়তে হবে। এতো পরিমাণ পানি বাড়ার কোনো আশঙ্কা নেই। তাই জেলাবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন পাউবোর ওই কর্মকর্তা।

এদিকে আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফেসবুকে একটি সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তাতে তিনি উল্লেখ করেন, ফারাক্কা ব্যারেজের ১০৯টি গেইট খুলে দিয়েছে ভারত। প্রায় প্রতি বছর বর্ষাতেই গেইটগুলো খুলে দেওয়া হয়। তাই আতঙ্কিত না হয়ে সম্ভাব্য বন্যার বিষয়ে সচেতন হওয়ার জন্য পাংশার উপকূলের কাছাকাছি নিম্নাঞ্চলের অধীবাসীদের সতর্ক করা হচ্ছে।

মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/এফআরএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *