ত্রাণ লুট করে পদ হারালেন বিএনপি নেতা

ত্রাণ লুট করে পদ হারালেন বিএনপি নেতা

বন্যার্তদের দেওয়ার জন্য ঢাকা থেকে শিক্ষার্থীদের নেওয়া ৬০০ প্যাকেট ত্রাণ লুটের অভিযোগে নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. একরামকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বুধবার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় কবিরহাট উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আরাফাতের রহমান হাসান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

মো. একরামকে উদ্দেশ করে দেওয়া ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আপনি দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ থাকায় দলীয় প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো। জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নোয়াখালী কবিরহাট উপজেলার আহ্বায়ক কামরুল হুদা চৌধুরী লিটন ও সদস্য সচিব মো. কামাল হোসেন সৌরভ ইতোমধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।’

অবগতির জন্য বিবৃতির কপি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম ও জেলা বিএনপির সভাপতি সাধারণ সম্পাদককেও দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

জানা যায়, গত মঙ্গলবার বিকেলে সুন্দলপুর ইউনিয়নের কালামুন্সি বাজারে ওই ত্রাণ লুটের ঘটনা ঘটে। এসময় শিক্ষার্থীদের ৬০০ প্যাকেট ত্রাণ লুট করে নেন একরাম। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে লুট হওয়া ত্রাণ উদ্ধার করে ছাত্রদের ফিরিয়ে দেয়। এসময় হামলাকারী মো. সৌরভ (১৮) নামে একজনকে আটক করে পুলিশে দেন স্থানীয়রা। আটক সৌরভ সুন্দলপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জাহের হোসেনের ছেলে। হামলায় মো. মাঈন উদ্দিন আকাশ (১৬) ও নিহাদ (১৬) নামে দুই শিক্ষার্থী আহতও হয়েছেন।

অভিযুক্ত এই বিএনপি নেতা মো. একরাম সুন্দলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও কালামুন্সি বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি।

জেলা বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক ওমর ফারুক টপি ঢাকা পোস্টকে বিবৃতির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ থাকায় দলীয় প্রাথমিক সদস্যসহ তার সকল পর্যায়ের পদ হতে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

হাসিব আল আমিন/এসকেডি

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *