শিক্ষার্থীদের হত্যার হুমকি দেওয়া ছাত্রলীগ নেতা ফের জবি ক্যাম্পাসে

শিক্ষার্থীদের হত্যার হুমকি দেওয়া ছাত্রলীগ নেতা ফের জবি ক্যাম্পাসে

ক্যাম্পাসে

ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা আবির-উজ-জামান। তিনি কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন।

বুধবার (২৮ আগস্ট) সকালে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন এ ছাত্রলীগ নেতা। পরে তাকে বহিস্কারের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। পরে সকাল ৯টার দিকে শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. আশরাফুল আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তাকে বহিস্কার করেন।

বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা হলেন- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আবির-উজ-জামান। তিনি বর্তমানে ঢাকা জেলা উত্তর শাখা ছাত্রলীগের গণযোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদকের পদে আছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিভাগের অ্যাকাডেমিক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিএসএস ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের চতুর্থ বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী আবীর-উজ-জামানকে (আইডি নং বি-১৯০৪০৬০০২) পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হলো।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে ৮টায় নিজ বাইক চালিয়ে ক্যাম্পাসে আসে আবির। পরে তিনি সহপাঠীদের সঙ্গে ক্লাসে বসেন। এরই মধ্যে বিষয়টি জানতে পেরে শিক্ষার্থীরা বিভাগের চেয়ারম্যানের রুমের সামনে অবস্থান নেন। একই সঙ্গে তাদের দাবি জানান।  

শিক্ষার্থীরা বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরু থেকেই আবির ছাত্রদের বিরোধিতা করেছে। গত ১৫ জুলাই প্রথম যেদিন ঢাবিতে ছাত্রীরা গিয়েছিল, সেদিন তাদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন তিনি। এছাড়া হাসিনা সরকারের পতনের দু-দিন আগেও তিনি তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য শিক্ষার্থীদের হত্যার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিল ফেসবুক স্ট্যাটাসে।

২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুজাহিদ বাপ্পি বলেন, আমাদের শত শত ভাইয়ের জীবন, চোখ দিতে হয়েছে যাদের জন্য; তাদের আমরা বয়কট করেছি। আমাদের বিভাগের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকেও তাকে বয়কট করা হয়েছে। তাকে বহিষ্কার করার দাবি জানাচ্ছি। 

এর আগে ২৬ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় আবিরসহ ৬ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

এমএল/এমজে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *