‘টাইমড আউট’ আদলে ইয়ামাল-ওলমোর উদযাপন, কারণ কী?

‘টাইমড আউট’ আদলে ইয়ামাল-ওলমোর উদযাপন, কারণ কী?

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে লামিনে ইয়ামাল কিংবা দানি ওলমোর দূরতম সম্পর্কের কথাও হয়ত ভাবনায় আসবে না কারোরই। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে টানা জয়ের রেকর্ড যদিও করেছে স্পেন। তবু দেশটিতে এখন পর্যন্ত জনপ্রিয়তার নিরিখে ঢের পিছিয়ে ক্রিকেট। এরইমাঝে ফুটবলের মাঠে নতুন করে ক্রিকেটের আলোচনা এনেছেন বার্সেলোনার দুই তারকা লামিনে ইয়ামাল এবং দানি ওলমো। 

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে লামিনে ইয়ামাল কিংবা দানি ওলমোর দূরতম সম্পর্কের কথাও হয়ত ভাবনায় আসবে না কারোরই। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে টানা জয়ের রেকর্ড যদিও করেছে স্পেন। তবু দেশটিতে এখন পর্যন্ত জনপ্রিয়তার নিরিখে ঢের পিছিয়ে ক্রিকেট। এরইমাঝে ফুটবলের মাঠে নতুন করে ক্রিকেটের আলোচনা এনেছেন বার্সেলোনার দুই তারকা লামিনে ইয়ামাল এবং দানি ওলমো। 

গত রাতেই লা লিগায় নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে রায়ো ভায়োকানোর বিপক্ষে মাঠে নামে বার্সেলোনা। জার্মান কোচ হ্যান্সি ফ্লিকের অধীনে বার্সেলোনা নিজেদের চিরায়ত রূপ ছেড়ে ভিন্নধর্মী ফুটবল উপহার দিচ্ছে মৌসুমের শুরু থেকেই। তারই ফল দেখা গেল গতকালও। পিছিয়ে পড়েও ভায়োকানোর মাঠ থেকে ২-১ গোলের জয় পেয়েছে ব্লুগ্রানারা। 

এই ম্যাচ দিয়েই বার্সেলোনায় সিনিয়ার ক্যারিয়ারের অভিষেক হলো দানি ওলমোর জন্য। ইউরোজয়ী এই স্প্যানিশ অ্যাটাকার প্রথম ম্যাচেই করলেন দলের জয়সূচক গোল। ৮২ মিনিটে তার করা গোলেই জয় নিশ্চিত হয় বার্সেলোনার। এরপরেই দেখা যায় লামিনে ইয়ামালের সঙ্গে দানি ওলমোর বিশেষ উদযাপন। হাতে ঘড়ির সংকেত দিয়ে গোল উদযাপন করেন দুজনে। 

ক্রিকেটে এমন উদযাপন অবশ্য নতুন না। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে ফেলেছিলেন টাইমআউটের ফাঁদে। এরপর থেকেই বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা দ্বৈরথে যুক্ত হয় হাতে ঘড়ির সংকেত দেখিয়ে উদযাপন। ম্যাথিউস নিজে পরে সাকিবকে আউট করে এই উদযাপন করেন। এরপরে শরিফুল ইসলামও করেছেন এমন কিছু। 

কিন্তু দানি ওলমো বা লামিনে ইয়ামালের অবশ্য এমন কিছুই ভাবনায় ছিল না। ম্যাচ জয়ের পর ওলমো নিজেই জানিয়েছেন, এটা বিশেষ কিছু নয়। বরং এমন উদযাপনই তার জন্য নিয়মিত, ‘আমি সবসময় গোলের পর এই উদযাপন করি। লামিনের সঙ্গে কথা হয়েছিল আর আমরা বলাবলি করছিলাম যদি আমি গোল করি, তবে এটা একসঙ্গে করব। আর এটাই হয়েছে।’ 

অবশ্য এই ম্যাচে দানি ওলমোর গোলটাই ছিল বিশেষ কিছু। নিজে বেড়ে উঠেছেন বার্সেলোনার একাডেমি থেকে। ২০০৭ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ছিলেন বার্সার যুব দলের হয়ে। কিন্তু পেশাদার খেলোয়াড়ি জীবন শুরু হয় ক্রোয়েশিয়ার ক্লাব ডায়নামো জাগরেবের হয়ে। এরপর জার্মান ক্লাব আরবি লাইপজিগ ঘুরে এসেছেন নিজের শৈশবের ক্লাবে। মঙ্গলবার সকালেই নিবন্ধিত হয়েছেন। আর রাতেই দলের হয়ে করলেন গোল। 

ম্যাচ উইনিং গোলের পর বেশ উচ্ছ্বসিত ছিলেন ওলমো, ‘আমি এমন একজন খেলোয়াড় যে সবসময় গোলের জন্য মুখিয়ে থাকে আর সুযোগও পেয়ে যাই। লামিনে খুব ভালোভাবেই আমাকে খুঁজে পেয়েছিল। আর আমিও গোলটা করতে সক্ষম হই। আমি খুবই খুশি। 

দানি ওলমোর এই গোলের সুবাদে তিন ম্যাচে তিন জয় নিশ্চিত করেছে বার্সেলোনা। ৯ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে লা-লিগার পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। 

জেএ 

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *