জাতির বড় বড় অর্জন এসেছে আলেম সমাজের হাতেই : সেলিম উদ্দিন

জাতির বড় বড় অর্জন এসেছে আলেম সমাজের হাতেই : সেলিম উদ্দিন

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, আলেম-উলামাগণ উম্মাহর পথপ্রদর্শক ও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে অর্থবহ ও টেকসই করতে জাতির জাগ্রত বিবেক আলেম সমাজকেই অতন্ত্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করার আহ্বান।

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, আলেম-উলামাগণ উম্মাহর পথপ্রদর্শক ও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে অর্থবহ ও টেকসই করতে জাতির জাগ্রত বিবেক আলেম সমাজকেই অতন্ত্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করার আহ্বান।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর মিরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিজয়ের পর নতুন বাংলাদেশ গঠনে আলেম-ওলামাদের ভূমিকা শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য মুস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় সেলিম উদ্দিন বলেন, মীর নিসার আলী তিতুমীর ও হাজী শরীয়তুল্লাহর অবদান গোটা মুসলিম উম্মাহকেই সমৃদ্ধ ও গর্বিত করেছে। ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহসহ ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে উপমহাদেশের আলেম সমাজ যে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছেন তা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। দেশ ও জাতির যেকোনো ক্রান্তিকালে আলেম সমাজ ছিলেন সদা সোচ্চার ও আপোষহীন। তারা বয়ান ও ওয়াজ মাহফিলের মাধ্যমে জাতিকে সঠিক দিকে নির্দেশনা দিয়ে এসেছেন। 

সাম্প্রতিক আন্দোলনেও আমাদের আলেম সমাজ নানাভাবে ছাত্র সমাজকে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন দাবি করে সেলিম বলেন, আলেমদের ভূমিকা আন্দোলনকে শানিত ও বিজয়ের পথে নিয়ে গেছে। তাই এই অর্জিত বিজয়কে ফলপ্রসূ ও সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য আলেম সামজকে অভিভাবকের ভূমিকা পালন করতে হবে।

তিনি বলেন, বিগত ১৬ বছরের আওয়ামী শাসনামলে দেশের আলেম সমাজের ওপর নানাভাবে জুলুম-নির্যাতন করা হয়েছে। তারা তাদের দাওয়াতি মিশন নির্বিঘ্নে চালাতে পারেনি। এমনকি সারা দেশে তাদেরকে ওয়াজ মাহফিলও করতে দেওয়া হয়নি। তবুও তারা হতোদ্দম হননি বরং জালিমের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই দ্বীনে হক্বের দাওয়াত প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছানোর জন্য তারা প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছেন। এজন্য তাদেরকে কারা নির্যাতনও বরণ করতে হয়েছে। ফ্যাসিবাদী ও বাকশালীরা অনেক আলেমকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যাও করেছে। কিন্তু এতোকিছুর পরও তাদেরকে দমানো যায়নি বরং সকল জুলুম-নির্যতন উপেক্ষা করেই আলেম সমাজ তাদের দাওয়াতি ও কল্যাণকামী কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।

তিনি আরো বলেন, ছাত্র-জনতার যুগপৎ আন্দোলন আমাদেরকে এক মহাবিজয় এনে দিয়েছে। যা ছিল অভাবনীয়। অনেকেই বিষয়টিকে কল্পনাতীত মনে করতেন। কিন্তু আমাদের নতুন প্রজন্ম এই অসাধ্যকে সাধন করতে সমর্থ  হয়েছে। তারা এই বিজয়কে কাজে লাগিয়ে দেশে ন্যায়-ইনসাফের সমাজ কায়েম করতে চায়। কিন্তু ন্যায়-ইনসাফের মানদণ্ড কী সে সম্পর্কে ছাত্র-জনতার জন্য মোটিভেশন চালাতে আলেম সমাজ নিরলসভাবে কাজ করতে হবে। 

জেইউ/পিএইচ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *