চলমান আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আয়মান সাদিক। এ সময় তার সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের একাধিক জনপ্রিয় মুখকে দেখা যায়।
চলমান আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আয়মান সাদিক। এ সময় তার সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের একাধিক জনপ্রিয় মুখকে দেখা যায়।
শনিবার (৩ আগস্ট) রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস এলাকায় সমাবেশে অংশ নেন আয়মান সাদিক। যার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন তিনি নিজেই।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিওতে দেখা যায়, আয়মান সাদিক, মুনজেরিন শহীদ, সৌমিক আহমেদ, সালমান মুক্তাদিরসহ অসংখ্য শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে পুরো ডিওএইচএস এলাকা প্রদক্ষিণ করছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজকের মিছিলে শিক্ষার্থীরা ছাড়াও ডিওএইচএসে বসবাসরত সব বয়সী মানুষ অংশ নেন। এ সময় হত্যার বিচার এবং সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে স্লোগান দেওয়া হয়। অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যরাও মিছিলে ব্যাপকভাবে অংশ নেন।
এর আগে শুক্রবার মধ্যরাতে আয়মান সাদিকের প্রতিষ্ঠান টেন মিনিট স্কুল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। আয়মান সাদিকও তার ফেসবুক স্টোরিতে এ তথ্য শেয়ার করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করা টেন মিনিট স্কুলে বর্তমানে ৬ষ্ঠ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অনলাইন ব্যাচে লাইভ ক্লাস ও পরীক্ষার মাধ্যমে বোর্ড সিলেবাসভিত্তিক পড়াশোনা ও পরীক্ষা প্রস্তুতির নিয়মিত সহায়তা করছে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার্থী ও চাকরির প্রত্যাশীদেরও প্রস্তুতিতে সাহায্য করছে টেন মিনিট স্কুল।
এ অ্যাপে বাংলাদেশের বোর্ড সিলেবাসের ওপর ৩৫ হাজারেরও বেশি রেকর্ডেড ভিডিও লেকচার আছে। এর পাশাপাশি ৮২ হাজারেরও বেশি কুইজ আছে। এছাড়াও মডেল টেস্ট, ই-বুক, ও লেকচার শিটের মতো শিক্ষামূলক রিসোর্স টেন মিনিট স্কুল নিয়মিত শিক্ষার্থীদের দিয়ে থাকে। শিক্ষামূলক অ্যাপটি ব্যবহার করছে ৬৭ লাখের বেশি শিক্ষার্থী। এছাড়া টেন মিনিট স্কুলের ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন কনটেন্ট থেকে প্রতি মাসে এক কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী অনলাইনে পড়াশোনা করছে।
এমজে