অন্তর্বর্তী সরকারে ফের দপ্তর পুনর্বণ্টন

অন্তর্বর্তী সরকারে ফের দপ্তর পুনর্বণ্টন

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানসহ পাঁচ উপদেষ্টার দপ্তর পুনর্বণ্টন করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহামদ ইউনূস ছয়টি মন্ত্রণালয় বা বিভাগের দায়িত্ব পেয়েছেন।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানসহ পাঁচ উপদেষ্টার দপ্তর পুনর্বণ্টন করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহামদ ইউনূস ছয়টি মন্ত্রণালয় বা বিভাগের দায়িত্ব পেয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এই প্রজ্ঞাপন জারি করেন।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে ১০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্ব থাকলেও চারটি ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। সেগুলো হলো- ভূমি মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় ও মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। 

এসব মন্ত্রণালয়ে চারজনকে উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা সালেহ উদ্দিন আহমেদকে নতুন করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

উপদেষ্টা হাসান আরিফকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি ভূমি মন্ত্রণালয়, ড. এম সাখাওয়াত হোসেনকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদকে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ গত ১৬ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের আট উপদেষ্টার দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করা হয়। এর আগে ৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টাসহ ১৪ জন উপদেষ্টা শপথ নেন। ঢাকা ও দেশের বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা সেদিন শপথ নেননি।

পরদিন ৯ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা এবং অন্যান্য উপদেষ্টাদের দপ্তর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

পরে ১১ আগস্ট শপথ নেন উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ও বিধান রঞ্জন রায় আর ১৩ আগস্ট শপথ নেন আরেক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।

সবশেষ শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে নতুন করে আরও চার উপদেষ্টা শপথ নেন। নতুন উপদেষ্টারা হলেন- সাবেক সচিব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এবং বাংলাদেশ রাইফেলসের সাবেক মহাপরিচালক লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম।

এসএইচআর/এমজে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *