শিক্ষকদের স্কুলে ফেরাতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

শিক্ষকদের স্কুলে ফেরাতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের মিলনপুর গ্রামের চখমিল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষককে আবার স্কুলে ফিরিয়ে আনতে আন্দোলন করেছে শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বেলা ১১টায় শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় মাঠে

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের মিলনপুর গ্রামের চখমিল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষককে আবার স্কুলে ফিরিয়ে আনতে আন্দোলন করেছে শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বেলা ১১টায় শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় মাঠে এই আন্দোলন করে। 

এ সময় দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী তানভীর বলেন, গত ২৪ আগস্ট যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটা কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা ঘটিয়েছে। এটার সঙ্গে ছাত্ররা জড়িত নয়। স্যারদের লাঞ্ছিত করতে আমরা কখনো চাইনি, আমরা চেয়েছিলাম আমাদের স্কুলে যেন উন্নয়ন হয়। কিন্তু বাইরের কিছু রাজনৈতিক নেতারা তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য আমাদেরকে ব্যবহার করে স্যারদেরকে লাঞ্ছিত করাতে বাধ্য করেছে। যেটা আমরা কখনোই চাইনি। 

নিপা নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা স্যারদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে চাইনি। রাজনৈতিক কিছু ব্যক্তি আমাদের স্কুলে এসে ক্লাসরুম থেকে জোর করে টেনে হেঁচড়ে বের করে। পরে আমাদেরকে বাধ্য করে স্যারদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে। স্যারদের গাড়ি যারা পুড়িয়েছে তারা স্কুলের কেউ না তারা মূলত রাজনৈতিক কিছু নেতারা। আমরা আমাদের স্যারদের আবার ফিরে পেতে চাই। 

এ সময় প্রায়ই কয়েক শত শিক্ষার্থী স্কুল মাঠে তাদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে আন্দোলন করে। পরে তারা ইংরেজি সহকারী শিক্ষক ইয়াসিন মিয়ার বাড়িতে অবস্থান করে। তারা দাবি করে যতক্ষণ না পর্যন্ত স্যাররা আমাদের স্কুলে যোগদান করবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা ক্লাসে ফিরব না। 

নাম না প্রকাশে একজন শিক্ষক বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের জোর করে রাজনীতি কিছু নেতারা ব্যবহার করেছে। আমাদের ছাত্রছাত্রীরা কখনোই আমাদের লাঞ্ছিত করতে চায় নাই। কিছু রাজনৈতিক নেতা মূলত তাদের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য এই কাজ করেছে। 

প্রসঙ্গত, গত ২৪ আগস্ট চখমিল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি স্কুলে শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রাখেন তাদের পদত্যাগের দাবিতে। এ সময় শিক্ষকদের দুটি গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে তারা উল্লাস করতে থাকে। পরবর্তী সময়ে পুলিশসহ সেনাবাহিনী একটি দল এসে শিক্ষকদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এ সময় শিক্ষকদের পদত্যাগ পত্র স্বাক্ষর করার পরেই তাদেরকে রুম থেকে বের করে দেওয়া হয়। এ সময় কিছু রাজনৈতিক নেতারা শিক্ষকদের হত্যার হুমকি দেয়।

আরিফ হাসান/আরকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *