স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি কুমিল্লা। জেলার ১৭টি উপজেলার মধ্যে ১৪টি উপজেলাই পানিতে তলিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২ লাখ ৮ হাজার ৯৪৯টি পরিবার। সরকারি হিসাবে জেলাজুড়ে পানিবন্দি ১০ লাখ ৫৬ হাজার ৬৪৪ জন মানুষ। তবে বেসরকারি হিসাবে ক্ষতির মুখে ১২ থেকে ১৪ লাখ মানুষ।
স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি কুমিল্লা। জেলার ১৭টি উপজেলার মধ্যে ১৪টি উপজেলাই পানিতে তলিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২ লাখ ৮ হাজার ৯৪৯টি পরিবার। সরকারি হিসাবে জেলাজুড়ে পানিবন্দি ১০ লাখ ৫৬ হাজার ৬৪৪ জন মানুষ। তবে বেসরকারি হিসাবে ক্ষতির মুখে ১২ থেকে ১৪ লাখ মানুষ।
সোমবার (২৬ আগস্ট) রাতে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
কার্যালয়টি জানিয়েছে, ভয়াবহ এই বন্যায় জেলার ১৪টি উপজেলার ১২৫টি ইউনিয়ন, পৌরসভা, পৌরওয়ার্ড পানিতে তলিয়েছে। সরকারি হিসাবে বন্যায় এখন পর্যন্ত জেলায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে বেসরকারি হিসাব বলছে ১২ জন।
জেলার ৭২৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ৮১ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৯ হাজার ৯২৩ জন বিভিন্ন বয়সের পুরুষ, ৩০ হাজার ৭৭৪ জন নারী, ২০ হাজার ৫৮৯ জন শিশু ও ৩০৬ জন প্রতিবন্ধী মানুষ রয়েছেন।
মানুষ ছাড়াও আশ্রয়কেন্দ্র গুলোতে ৭ হাজার ৭৭৭টি পশুপাখিকেও আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এসবের মধ্যে ৩ হাজার ৩৮৫টি গরু, ৩ হাজার ১৪৭টি ছাগল ও ভেড়া এবং ১ হাজার ২৪৪টি হাঁস-মুরগিকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবেদ আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, বন্যায় কুমিল্লায় জেলা জুড়ে ১৮০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৪৫ লাখ টাকার নগদ অর্থও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গেল কয়েকদিনে বন্যায়, ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ৬০০ মেট্রিক টন চাল ও ৩৩ লাখ টাকা নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণসহ বিভিন্ন সহায়তা অব্যাহত আছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
এমএ