১২ হাজারের বেশি মানুষকে সেবা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

১২ হাজারের বেশি মানুষকে সেবা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বন্যাদুর্গত এলাকায় তিনদিনে ১২ হাজারের বেশি মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গত ২৬ আগস্ট থেকে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত এ সেবা দেওয়া হয়।

দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বন্যাদুর্গত এলাকায় তিনদিনে ১২ হাজারের বেশি মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গত ২৬ আগস্ট থেকে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত এ সেবা দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিডিয়া উইংয়ের সমন্বয়ক তাহমীদ আল মুদ্দাসসীর চৌধুরীর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমরা ত্রাণ সহায়তার পাশাপাশি চিকিৎসা সেবাও পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, প্যারা মেডিকেল, নার্স এবং স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে টিম গঠন করে বন্যাদুর্গত এলাকায় প্রেরণ করি।

মেডিকেল টিম গঠনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে এতে বলা হয়, বন্যাদুর্গত অঞ্চলে ডাক্তারদের টিম প্রেরণের আগে আমরা ২৪ আগস্ট প্রায় দুই শতাধিক ডাক্তার, প্যারা মেডিকস এবং নার্সের উপস্থিতিতে একটি জরুরি সভার আহ্বান করি এবং ওই সভা থেকে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কিছু সিদ্ধান্ত হয় এবং তার আলোকে ঐ অঞ্চলগুলোতে চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ক্যাম্পেইন শুরু করার বিষয়ে বলা হয়, যেহেতু বন্যা দুর্গত এলাকাগুলোতে চিকিৎসা সেবা ভেঙে পড়েছিল সেহেতু আমরা সর্বপ্রথম আক্রান্ত এলাকায় দ্রুত পৌঁছানো যায় এমন জায়গায় ফিল্ড হসপিটাল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেই। আমরা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়ে গঠিত টিম দিয়ে ২৫ আগস্ট রাতে ফেনীতে ৩০ সদস্যের একটি দল প্রেরণ করার মাধ্যমে আমাদের প্রথম ফিল্ড হসপিটাল ফেনীর ফালাহিয়া মাদ্রাসায় স্থাপন করি। সেখান থেকে বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে ভ্রাম্যমাণ টিম নিয়ে দুর্গত এলাকাগুলোতে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেওয়া হয়। ফেনীতে প্রায় ২৬টি আলাদা স্থানে বিভিন্ন উপদলে ভাগ হয়ে মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২৬ আগস্ট ৫২ সদস্যের দুটি টিম কুমিল্লা এবং নোয়াখালীর বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য ফিল্ড হসপিটাল স্থাপনের জন্য প্রেরণ করা হয়। ফেনীর মতো এই দুটি জেলায় ফিল্ড হসপিটাল তৈরির কথা থাকলেও প্রশাসনের অসহযোগিতায় তা সম্ভব হয়নি। তবে ভ্রাম্যমাণ টিম বন্যাদুর্গত এলাকায় চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে। নোয়াখালীতে ১০টি এবং কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম ও বুড়িচংয়ে বিভিন্ন স্থানে ক্যাম্পেইনিং করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় প্রায় ১২ হাজারের বেশি মানুষকে চিকিৎসা সেবা এবং বিনামূল্যে ওষুধ সেবা দেওয়া হয়।

লক্ষ্মীপুর ও খাগড়াছড়িতে ফিল্ড হসপিটাল স্থাপনের বিষয়ে বলা হয়, গতকাল ২২ সদস্যের একটি টিম লক্ষ্মীপুর ফিল্ড হসপিটাল স্থাপনের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে, যারা এরইমধ্যে কাজ শুরু করেছে। অতিদ্রুত আরেকটি টিম খাগড়াছড়ির বন্যাদুর্গত এলাকায় চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য পাঠানো হবে।

কেএইচ/জেডএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *