১০ দফা দাবি আদায়ে বিআরটিএর সামনে অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ

১০ দফা দাবি আদায়ে বিআরটিএর সামনে অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ

দৈনিক জমা ৫০০ টাকা করার দাবিতে রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত বিআরটিএর প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকরা।

দৈনিক জমা ৫০০ টাকা করার দাবিতে রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত বিআরটিএর প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকরা।

বুধবার (২৮ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে বিআরটিএ কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন তারা। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের অর্ন্তভুক্ত শ্রমিক সংগঠন ঢাকা জেলা ফোর স্ট্রোক অটোরিকশা (সিএনজি) ড্রাইভার্স ইউনিয়নের ব্যানারে এই কর্মসূচির আয়োজন করেন চালকরা। অবস্থান কর্মসূচি থেকে চালকরা ‘দুনিয়ার মজদুর এক হও’-স্লোগান দেন।

চালকরা বলেন, মালিকেরা জমা বাড়ানোর পাঁয়তারা করছেন, সেটা বন্ধ করতে হবে। চালকদের ১০ দফা দাবি আদায়ে এখানে আমরা এসেছি। এই দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে।

তারা বলেন, ২০১৫ সাল থেকে চালকদের ওপর মালিক সমিতি নির্যাতন করছে। ঢাকায় পাঁচ হাজার গাড়ি ও চট্টগ্রামে চার হাজার গাড়ি চালকদের মধ্যে বিতরণ করলে চালকরা মালিক সমিতির নির্যাতন থেকে মুক্তি পাবে।

সুব্রত মন্ডল নামে এক চালক বলেন, সরকার নির্ধারিত দৈনিক জমা ৯০০ টাকার পরিবর্তে মালিকরা এক শিফটে ১১৫০ টাকা থেকে ১৩০০ টাকা নিচ্ছে এবং দুই শিফটে ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকা পর্যন্ত জমা আদায় করছে। এমনকি মালিক সমিতি গত ২০২২ সালের ২৩ মে থেকে আবার জমা বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে। চালকদের কাছ থেকে এই অতিরিক্ত জমা আদায় বন্ধ করতে হবে। মালিক সমিতি চালকদের জমা আদায়ের রশিদ দিতে হবে। আমাদের প্রধান দাবি সরকার নির্ধারিত দৈনিক জমা ৯০০ টাকা করতে হবে।

আরজু খান নামে আরেক চালক বলেন, প্রায় এক হাজার সিএনজি মালিকের কাছে ঢাকা শহরের প্রায় এক লাখ সিএনজি চালক ও এক কোটি যাত্রী জিম্মি। যাত্রীদের ধারণা সিএনজি চালকরা যাত্রীদের ওপর জুলুম করে। কিন্তু চালকরা কতটা অসহায় সে কথা কখনো কেউ জানেই না, শোনেও না। নিয়োগপত্র না থাকায় চালকরা বছরে তিন চারবার বেকার হন। আমরা এসবের একটি স্থায়ী সমাধান চাই। আমরা চাই অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার আমাদের বিষয়গুলো একটু নজর দিক।

জেইউ/জেডএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *