যে কারণে ফেনীর ৩ উপজেলায় সচল হচ্ছে না মোবাইল নেটওয়ার্ক

যে কারণে ফেনীর ৩ উপজেলায় সচল হচ্ছে না মোবাইল নেটওয়ার্ক

ভারত থেকে নেমে আসা ঢল এবং টানা বৃষ্টিতে আকস্মিকভাবে বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ১৫টির অধিক জেলাকে। এমন অবস্থায় স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অতিরিক্ত পানি জমে বন্ধ হয়ে গেছে মোবাইল অপারেটর কোম্পানির টাওয়ার। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফেনী জেলা। এখনও এ জেলার ৩টি উপজেলা পুরোপুরি পানিতে নিমজ্জিত থাকায় নেটওয়ার্ক পুনরুদ্ধার কাজ শুরু করা যায়নি।

রোববার (২৫ আগস্ট) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এর ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন বিভাগ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। 

বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান জানান, ফেনী জেলার ৩টি উপজেলা পুরোপুরি পানিতে নিমজ্জিত থাকায় নেটওয়ার্কের পুনরুদ্ধার কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। এসব উপজেলাগুলোর বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় এবং সেখানে তীব্র পানির স্রোতের কারণে দুর্গম এলাকাসমূহে বিশেষ প্রশিক্ষিত লোকবল ব্যতীত সাধারণের গমন বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। জানমালের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা এবং এসব এলাকায় অনুকূল কাজের পরিবেশ না থাকায় জেনারেটর, টেলিকম সরঞ্জাম ও অন্যান্য লজিস্টিক পাঠানো যাচ্ছে না। ফলে আপাতত নেটওয়ার্ক পুনরুদ্ধার কার্যক্রমকে ফলপ্রসূ করা যায়নি।

তিনি আরও জানান, মোবাইল অপারেটরদের গ্রিন ফিল্ড সাইটগুলো পানিতে নিমজ্জিত থাকায় এবং মূল ট্রান্সমিশন হাব সাইটসমূহের এসব গ্রিন ফিল্ড টাওয়ারের উপর নির্ভরতা থাকায় জেনারেটর দিয়ে উক্ত এলাকাসমূহে বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে অসচল সাইটসমূহ দ্রুত সচল করা সম্ভব হয়নি। তবে, পানির উচ্চতা ক্রমশ নেমে আসলে এবংবিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হলে নেটওয়ার্ক পুনঃস্থাপন কার্যক্রমের দ্রুত অগ্রগতির প্রস্তুতি রয়েছে।

তবে গত ২৪ ঘণ্টায় বন্যাকবলিত এলাকাগুলোর অসচল সাইট সংখ্যা ১ হাজার ২৩৫ থেকে ৯৮৮ তে হ্রাস পেয়েছে। যা শতকরা হিসেবে ৯ দশমিক ২ শতাংশ থেকে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ফেনী জেলার অসচল সাইট সংখ্যা ৬০৫ থেকে ৫৯১ তে হ্রাস পেয়েছে।  যা শতকরা হিসেবে ৯২ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে ৯০ দশমিক ৫ শতাংশ। অর্থাৎ অচল টাওয়ারের সংখ্যা আগের তুলনায় ২ দশমিক ১ শতাংশ কমেছে।

অপরদিকে বন্যা দুর্গত এলাকার মোবাইল নেটওয়ার্ক দ্রুত সচল করতে আরও বেশি চেষ্টা চালানো প্রয়োজন বলে মনে করেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, টানা বর্ষণ এবং অতি বন্যায় ১৫টি জেলার শত শত গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্যায় টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবায়ও বিপর্যয় ঘটেছে। অধিকাংশ বিটিএস বিকল হয়ে পড়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাও অস্বাভাবিক অচল হয়ে গেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তির প্রতিমন্ত্রীর প্রথম চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বন্যা দুর্গত এলাকায় দ্রুত নেটওয়ার্ক চালু করা। 

আরএইচটি/এসকেডি

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *