মুসলমানদের আসাম দখল করতে দেব না: মুখ্যমন্ত্রী বিশ্বশর্মা

মুসলমানদের আসাম দখল করতে দেব না: মুখ্যমন্ত্রী বিশ্বশর্মা

ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসাম মুসলিমদের দখলে যেতে দেবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। রাজ্যে এক কিশোরী ধর্ষণে অভিযুক্ত যুবকের পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু নিয়ে আলোচনার সময় এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসাম মুসলিমদের দখলে যেতে দেবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। রাজ্যে এক কিশোরী ধর্ষণে অভিযুক্ত যুবকের পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু নিয়ে আলোচনার সময় এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

আসামের নিম্নাঞ্চলে বসবাসরত মুসলিমদের ইঙ্গিত করে হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, ‌‘‘নিম্ন আসামের মানুষ তো উঁচু আসামে যাবেই। কেন উঁচু আসামে যাবে তারা? তার মানে তারা গোটা আসাম দখল করতে চায়। আপনারা মিয়াঁ মুসলমান দিয়ে গোটা আসাম দখল করাবেন? আমি কখনই সেটা হতে দেব না।’’

রাজ্যের এই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বরপেটা (নিম্ন আসাম) থেকে আপনারা উজান আসামে যাবেন বলছেন। আমিও বলছি মিয়াঁ মুসলমানদের কোনও অবস্থাতেই আসাম দখল করতে দেব না।’’’

সম্প্রতি আসামের নগাঁও জেলার ধিং এলাকায় দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে রাজ্যটিতে। আসামের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় প্রত্যেকদিন শত শত মানুষ ধর্ষণ কাণ্ডের ঘটনায় বিক্ষোভ প্রতিবাদ করেছেন। এই বিষয়ে আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘একটি ধর্ষণের ঘটনাও আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। এনসিআরবির তথ্য নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা করা উচিত। ২০১৪ সালে রাজ্যে ১ হাজার ৯৮০টি, ২০১৯ সালে ৯৮৯ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। তবে আমাদের মানতেই হবে, ধর্ষণের ঘটনা কমেছে।’’

তিনি বলেন, ‘‘কোনও মুখ্যমন্ত্রী এক বছরে অপরাধ নির্মূল করতে পারবেন না। তবে কমাতে পারবেন। এটা আমরা করেতে পেরেছি। মিয়াঁ মুসলমানরা নিম্ন থেকে উজান আসামে চলে যাবেন বলে বিরোধীদের বক্তব্যের বিরোধিতা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা দেবব্রত শইকিয়া এবং রফিকুল ইসলাম বলছেন, নিম্ন আসামের মানুষ উজান আসামে যাবে। আমি বলছি, কেন যাবে? যেতে পারে না। মিয়াঁ মুসলমানদের উজান আসাম দখল করতে দেব না।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘মুসলিম আইনজীবীদের মুসলমান অপরাধীদের সাহায্য করা উচিত নয়। একইভাবে হিন্দুদের ক্ষেত্রেও এটি হওয়া উচিত। মুসলিম আইনজীবীদের কখনই ধিং মামলায় সাহায্য করা উচিত নয়। অপরাধীরা সুরক্ষা না পেলে অপরাধ অবশ্যই কমবে। আক্রমণাত্মক হবেন না।’’

আসামের নিম্নাঞ্চলে বসবাসকারী বাংলাদেশি অভিবাসী মুসলমানদের মিয়াঁ মুসলিম বলে সম্বোধন করা হয়। রাজ্যের সরকার বলছে, আসাম-বংশোদ্ভূত মুসলমানদের সঙ্গে এই মুসলমানদের কোনও সম্পর্ক নেই।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।

এসএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *