প্রেমিকের দেওয়া আগুনে পুড়ে নারী অলিম্পিয়ানের মৃত্যু

প্রেমিকের দেওয়া আগুনে পুড়ে নারী অলিম্পিয়ানের মৃত্যু

ক্রীড়াবিশ্বের জনপ্রিয় প্রতিযোগিতা অলিম্পিকের সবশেষ আসর প্যারিসেও অংশগ্রহণ করেছিলেন উগান্ডার অ্যাথলেট রেবেকা চেপতেগেই। ৩৩ বছর বয়সী সেই ম্যারাথন রানার সাবেক প্রেমিকের দেওয়া আগুনে মারা গেছেন। গত রোববার তার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়া হলে শরীরের ৮০ শতাংশই পুড়ে যায়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ (বৃহস্পতিবার) মৃত ঘোষণা করা হয় চেপতেগেইকে।

ক্রীড়াবিশ্বের জনপ্রিয় প্রতিযোগিতা অলিম্পিকের সবশেষ আসর প্যারিসেও অংশগ্রহণ করেছিলেন উগান্ডার অ্যাথলেট রেবেকা চেপতেগেই। ৩৩ বছর বয়সী সেই ম্যারাথন রানার সাবেক প্রেমিকের দেওয়া আগুনে মারা গেছেন। গত রোববার তার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়া হলে শরীরের ৮০ শতাংশই পুড়ে যায়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ (বৃহস্পতিবার) মৃত ঘোষণা করা হয় চেপতেগেইকে।

এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, উত্তর-পশ্চিম কেনিয়ায় পরিবারসহ থাকতেন চেপতেগেই। যেখানে দুই সন্তানকে নিয়ে ধর্মীয় উপসনালয় চার্চ থেকে ফেরার পথে তাকে টার্গেট করা হয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। নিজের মেয়েকে হারিয়ে শোকার্ত বাবা জোসেফ চেপতেগেই বলেছেন, তিনি তার খুবই সাপোর্টিভ কন্যাকে হারিয়েছেন। উগান্ডার আরেক অ্যাথলেট জেমস কিরওয়া বলছেন, অন্যান্য অ্যাথলেটদেরও আর্থিকভাবে সহায়তা করতেন চেপতেগেই। তার দুই সন্তানের বয়স ১২ ও ১৩ বছর।

জন্মস্থান উগান্ডা হলেও পার্শ্ববর্তী কেনিয়ায় থাকতেন চেপতেগেই। গত ১ সেপ্টেম্বর পূর্ব আফ্রিকার দেশটির ট্রান্স-এনজোইয়া কাউন্টির বাড়িতে পেট্রোল ঢেলে তার শরীরে আগুন লাগিয়ে দেন সাবেক প্রেমিক ডিকসন এনডিয়েমা। এ সময় ডিকসন নিজেও আগুনে পুড়ে আহত হন বলে জানায় স্থানীয় পুলিশ। তবে চেপতেগেইয়ের শরীরের ৭৫-৮০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় তিনি মারাত্মক ঝুঁকিতে ছিলেন। ফলে কাল রাত থেকে তারা অঙ্গপ্রত্যঙ্গে সাড়া মিলছিল না। পরে আজ ভোরে তার মৃত্যুর ঘোষণা দেওয়া হয়।

এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে উগান্ডার অলিম্পিক কমিটির প্রধান ডোনাল্ড রুকারে বলেছেন, ‘এটি ছিল কাপুরুষত্ব আচরণ এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ। যার কারণে আমরা বড় এক অ্যাথলেটকে হারিয়েছি। আমরা তার উত্তরাধিকার গড়ায় কাজ করব।’ কেনিয়ার ক্রীড়ামন্ত্রী কিপচুম্বা মুরকোমেন বলেন, ‘এই ট্র্যাজেডি লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা নিয়ে নতুন করে ভাবার জন্য বড় বার্তা। যা ভয়ঙ্করভাবে ক্রমাগত বাড়ছে, এমনকি অভিজাত ক্রীড়াঙ্গনেও।

অন্যদিকে, অমানবিক ও ঘৃণ্য এই ঘটনায় দোষীদের বিচার চেয়েছেন চেপতেগেইয়ের বাবা জোসেফ চেপতেগেই। নারীদের ওপর সহিংসতার ঘটনা কেনিয়ায় বড় ভাবনা কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রতিনিয়ত। ২০২২ সালে কমপক্ষে ৩৪ শতাংশ নারী শারিরীকভাবে সহিংসতার অভিযোগ করেছেন রাষ্ট্রীয়ভাবে পরিচালিত একটি জরিপে।

এএইচএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *