ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটাবিরোধী সাধারণ শিক্ষার্থীদের দিকে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হাসান মোল্লা ভেবে সুমন নামে এক যুবককে গণপিটুনি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটাবিরোধী সাধারণ শিক্ষার্থীদের দিকে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হাসান মোল্লা ভেবে সুমন নামে এক যুবককে গণপিটুনি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
প্রথমে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করে গণপিটুনি দেন। সেখান থেকে তারা সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনলে হাসান মোল্লা ভেবে আবারো তাকে গণপিটুনি দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টার চেষ্টায় সেনাবাহিনীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল থেকে আবার নিয়ে চলে যায়।
জানা যায়, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হাসান মোল্লার চেহারার সঙ্গে যুবকের চেহারার মিল থাকায় তাকে গণপিটুনি দেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে তাকে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। এরপর আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য সেনাবাহিনী ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে খবর পেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সেনাবাহিনীর গাড়ি ঘেরাও করে এবং তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যেতে চায়। এ সময়ে সেনাবাহিনীর হেফাজতে থাকা অবস্থায় শিক্ষার্থীরা তাকে আবারো গণধোলাই দেন। এরপর তাকে সেনাবাহিনীর গাড়িতে করে আবার নিয়ে যাওয়া হয়।
তবে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা ঐ ব্যক্তি হাসান মোল্লা কি না সেই বিষয়ে সেনাবাহিনীর কারো কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গত ১৫ জুলাই কোটাবিরোধী আন্দোলনে শহীদুল্লাহ হলের সামনে পিস্তল উঁচিয়ে গুলি করতে দেখা যায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে।
পিস্তল উঁচিয়ে হামলায় অংশ নেওয়া যুবকের নাম হাসান মোল্লা। তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোল্লা আবু কাওসারের ভাগনে বলে জানা গেছে। ঢাকা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী হাসান ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাজনীতি করেন। তিনি এখন গণপূর্ত অধিদপ্তরে ঠিকাদারি করেন। তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়। ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের এক নেত্রীকে বিয়ে করেছেন এমন তথ্যও জানিয়েছেন ওই নেত্রীর সহপাঠীরা।
এসএএ/এমএ