‘জামায়াতের সঙ্গে মতানৈক্য দূর করে টেকসই ঐক্য গড়ে তুলতে হবে’

‘জামায়াতের সঙ্গে মতানৈক্য দূর করে টেকসই ঐক্য গড়ে তুলতে হবে’

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে হক্কানী ওলামায়ে কেরামের যে মতানৈক্য আছে তা দূর করে টেকসই ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। ইসলামী মূল্যবোধ বাদ দিয়ে আমরা কোনো রাজনীতি করবো না।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে হক্কানী ওলামায়ে কেরামের যে মতানৈক্য আছে তা দূর করে টেকসই ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। ইসলামী মূল্যবোধ বাদ দিয়ে আমরা কোনো রাজনীতি করবো না।

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে শাহবাগে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। মূলত, ‘ভারতীয় পানি আগ্রাসনের প্রতিবাদ ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে গণহত্যার বিচারের দাবিতে’ এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি বলেন, দীর্ঘ ৮০০ বছর পর্যন্ত ভারত উপমহাদেশ শাসন করেছে মুসলমান। কিছু মুনাফেকের (বিশ্বাসঘাতক) কারণে ২০০ বছর শাসন করেছে ব্রিটিশ। এরপর আমরা স্বাধীন হয়েছিলাম। কিন্তু ভারত ভালো ব্যবহার না করার কারণে পাকিস্তান হয়েছিল। পাকিস্তান হওয়ার পরেও আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণ না হওয়ায় ৭১-এ স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ হয়েছিল। কিন্তু স্বাধীন দেশে ভারতকে বন্ধু ভেবে লেন্দুপ দর্জির মতো শেখ হাসিনাকে মুখ্যমন্ত্রী বানাতে চেয়েছিল। কিন্তু সেটি তারা পারেনি। উল্টো তারা ফারাক্কা বাঁধ দিয়েছে। তিস্তার সমস্যা সমাধান করেনি।

তিনি আরও বলেন, ভারত প্রত্যেক বছর বাংলাদেশের মানুষকে পানি দিয়ে ডুবিয়ে দেয়। বাংলাদেশের ৯২ শতাংশ মানুষকে নাস্তিক বানানোর ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।

বর্তমান সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আলেম ওলামা ও জ্ঞানীদের দিয়ে নতুন শিক্ষা কমিশন করতে হবে। ৯২ শতাংশ মানুষের চিন্তা চেতনা বাদ দিয়ে কোনো সিলেবাস হতে পারে না। মুসলিমদের চিন্তা চেতনা বিরোধী কোনো সিলেবাস চলবে না। ইসলামী মৌলবাদকে বাদ দিয়ে কোনো রাজনীতি হবে না। আগামীর বাংলাদেশ হবে বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ। এখানে সবার অধিকার থাকবে।

তিনি বলেন, ভেদাভেদ সৃষ্টির বাংলাদেশ আমরা চাই না। আমরা চাই, বাংলাদেশের প্রত্যেকটি নাগরিক সমান সুযোগ পাক।

ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল বশর আজিজীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল মুনতাসীর আহমাদের পরিচালনায় এই ছাত্র সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মাদ আমিনুল ইসলাম, ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক মুফতী সৈয়দ এছহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের, কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, বরকতুল্লাহ লতিফ, ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ নেছার উদ্দীন, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম সভাপতি অধ্যাপক নাছির উদ্দীন।

আরএইচটি/পিএইচ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *