ক্রিকেট ব্যাট-অ্যাকুরিয়াম কেনার টাকা বন্যার্তদের দিলো দুই ভাই

ক্রিকেট ব্যাট-অ্যাকুরিয়াম কেনার টাকা বন্যার্তদের দিলো দুই ভাই

ক্রিকেট খেলার প্রতি অন্যরকম ভালোবাসা ইসামের, আবার অ্যাকুরিয়ামের প্রতি শখ ইজাদের। দুজনের শখ আর ভালোবাসার টানে ক্রিকেট ব্যাট আর অ্যাকুরিয়াম কিনতে টাকা জমাচ্ছিলেন। তবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সহায়তার জন্য ইসাম-ইজাদ মিলে তাদের ব্যাট কেনার পুরো টাকা দিয়ে দিয়েছেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের ত্রাণ তহবিলে।

ক্রিকেট খেলার প্রতি অন্যরকম ভালোবাসা ইসামের, আবার অ্যাকুরিয়ামের প্রতি শখ ইজাদের। দুজনের শখ আর ভালোবাসার টানে ক্রিকেট ব্যাট আর অ্যাকুরিয়াম কিনতে টাকা জমাচ্ছিলেন। তবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সহায়তার জন্য ইসাম-ইজাদ মিলে তাদের ব্যাট কেনার পুরো টাকা দিয়ে দিয়েছেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের ত্রাণ তহবিলে।

সাম্প্রতিক বন্যার শুরু থেকেই প্লাবিত এলাকায় মানুষদের জন্য ত্রাণ সহায়তা পাঠাচ্ছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। এরই মধ্যে প্রায় পাঁচ হাজার পরিবারের মধ্যে ৭০০ টন ত্রাণ সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে। যা এখনো চলমান রয়েছে।

চলমান এই ত্রাণ তহবিলে ছোট্ট শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক ব্যক্তিরাও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন অফিসে নিয়ে আসছেন নগদ অর্থ, খাবারসহ বিভিন্ন সামগ্রী। এরই ধারাবাহিকতায় ২৫ আগস্ট রাজধানীর আফতাবনগর বাবাকে সঙ্গে নিয়ে আসেন ইসাম-ইজাদ।

সহযোগিতা প্রসঙ্গে ইসাম-ইজাদের বাবা বলেন, দুজনের মধ্যে ইসাম ক্রিকেট ব্যাট কিনবে বলে টাকা জমাচ্ছিল। আর ইজাদ টাকা জমাচ্ছিল অ্যাকুরিয়ামের জন্য। কিন্তু বন্যা পরিস্থিতিতে মানুষের সহযোগিতার জন্য তাদের শখের জমানো টাকা তারা দান করে দিয়ে যাচ্ছে। এই যে আমাদের সন্তানেরা বিপন্ন মানুষের জন্য ব্যক্তিগত চাহিদা বিসর্জন দিচ্ছে— আমরা এই প্রজন্মকে নিয়ে স্বপ্ন দেখি।

এদিকে চলমান ত্রাণ কার্যক্রম নিয়ে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের জেনারেল সেক্রেটারি সাব্বির আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা গত ২১ আগস্ট থেকে বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করেছি, সেদিন সন্ধ্যায়ই আমরা ৩০ টন শুকনা খাবার পাঠিয়েছি। ২২ আগস্ট আমরা আরও বড় পরিসরে ত্রাণ তহবিলের মাধ্যমে সহযোগিতা সংগ্রহ ও কেনাকাটা শুরু করেছি, এরপর ২৩ আগস্ট থেকে আবারও ত্রাণ পাঠানোর শুরু করি। গতকাল পর্যন্ত আমরা ১১৬৭ দশমিক ৫ টন মালামাল আমরা ক্রয় করেছি। সেগুলো পর্যায়ক্রমে বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে পাঠাচ্ছি।

তিনি বলেন, প্রতিদিনই এতো পরিমাণ মানুষ আমাদের ত্রাণ তহবিলে সহযোগিতা করতে আসছে, তা আসলে আবির্ভূত হওয়ার মতোই। ছোট্ট শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী লোকজন আসছে। কেউ ৫-১০ টাকা দিচ্ছে, আবার কেউ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্তও দিয়ে যাচ্ছে। আমরা সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ।

টিআই/পিএইচ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *