৮ বছর পর মুক্ত হলেন মীর কাশেম আলীর ছেলে ব্যারিস্টার আরমান

৮ বছর পর মুক্ত হলেন মীর কাশেম আলীর ছেলে ব্যারিস্টার আরমান

দীর্ঘদিন নিখোঁজ থাকার পর খোঁজ মিলেছে মীর কাশেম আলীর ছেলে ব্যারিস্টার আরমানের। গতকাল সোমবার মধ্যরাতে তিনি মুক্ত হন।

দীর্ঘদিন নিখোঁজ থাকার পর খোঁজ মিলেছে মীর কাশেম আলীর ছেলে ব্যারিস্টার আরমানের। গতকাল সোমবার মধ্যরাতে তিনি মুক্ত হন।

ব্যারিস্টার আরমানের পরিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

২০১৬ সালের ৯ আগস্ট ব্যারিস্টার আহমদ বিন কাশেম আরমানকে নিজ বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় মিরপুর ডিওএইচএস’র ১১ নম্বর সেকশনের ৭ নম্বর রোডের ৫৩৪ নম্বর বাড়ির দোতালায় থাকতেন তিনি। এই বাসা থেকেই দুই শিশু সন্তান, স্ত্রী ও বোনের সামনে থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাকে। এর পর আর আনুষ্ঠানিকভাবে তার হদিস পাওয়া যায়নি।

গতকাল সোমবার রাতে কর্নেল সামসের নেতৃত্বে রাতে ২০-২৫ জন সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনরা রাজধানীর ক্যান্টনমেন্টের কচুক্ষেত এলাকায় অবস্থান নেন।

তারা গণমাধ্যমকে বলেন, ডিজিএফআইয়ের আয়না ঘরে অনেক মানুষকে অন্যায়ভাবে বন্দি করে রাখা হয়েছে। বন্দিদের ছাড়িয়ে নিতে আমরা অবস্থান নিয়েছি। তাদের অক্ষত অবস্থায় হস্তান্তর না করা পর্যন্ত আমরা ফিরব না। বন্দিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত আমাদের অবস্থান চলবে। আমাদের সঙ্গে গুম হওয়া স্বজনদের সংগঠন মায়ের ডাকও যোগ দেয়। মুক্তির জন্য জন্য চাপ প্রয়োগের এক পর্যায়ে মুক্ত হওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়।

এ সময় উপস্থিত লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান বীর প্রতীক বলেন, বছরের পর বছর ডিজিএফআই, র‌্যাব ও পুলিশের বন্দিশালায় অসংখ্য মানুষকে গুম করে রাখা হয়েছে। রাতের মধ্যে তাদের মুক্তি দিতে হবে। তা না হলে দায়মুক্তির জন্য তাদের মেরে ফেলা হতে পারে। যদি আমাদের কাছে হস্তান্তর করা না হয় তাহলে পরবর্তী ঘটনার দায় ডিজিএফআইয়ের বর্তমান কর্মকর্তাদের নিতে হবে। আমরা দাবিগুলো সেনা কর্তৃপক্ষ ও সেনাপ্রধানকে পাঠিয়েছি। তাদের উত্তরের অপেক্ষায় আছি।

এআর/এমএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *