বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ বলেছেন, মায়ের কান্নাকাটি উপেক্ষা করে আন্দোলন করা যে কতটা কষ্টের এবার হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি। ৫ দিন গুম থাকা অবস্থায় আমার বাবা-মা আমাকে হাসপাতালের মর্গে মর্গে খুঁজে বেড়িয়েছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ বলেছেন, মায়ের কান্নাকাটি উপেক্ষা করে আন্দোলন করা যে কতটা কষ্টের এবার হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি। ৫ দিন গুম থাকা অবস্থায় আমার বাবা-মা আমাকে হাসপাতালের মর্গে মর্গে খুঁজে বেড়িয়েছেন।
শুক্রবার দিবাগত শেষরাত ৩টা ১০ মিনিটে এক ফেসবুকে স্ট্যাটাসে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ডিবিতে থাকা অবস্থায় বাবা-মা পাগলের মতো ছোটাছুটি করেছে ছেলের জন্য। আন্দোলন থেকে আমাকে দূরে রাখার জন্য সারাদিন বোঝানোর চেষ্টা করতেন। মাকে বলেছি তোমার ছেলে তো বেঁচে আছে, যে মায়েদের বুক খালি হয়েছে তাদের ন্যায়বিচার আদায় করে দেওয়ার দায়িত্বে কি আমি অবহেলা করতে পারি?
আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে আসিফ মাহমুদ বলেন, আপনাদের ভালোবাসা দেখে বাবা, মা, আপু এখন আমাকে নিয়ে গর্ববোধ করছেন। আমাকে উজ্জীবিত করছেন এক দফা আদায়ে। এটাই এখন পর্যন্ত আমার জন্য সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।
এদিকে আন্দোলন ঘিরে সারা দেশে চলমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে সরকারের সঙ্গে আলোচনার প্রশ্নই ওঠে না বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ।
জানা গেছে, সমন্বয়কদের সঙ্গে বসার জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটিও করেছে আওয়ামী লীগ। যেখানে রয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ১৬ জুলাই থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার ঘটনা ঘটতে থাকে। এসব ঘটনায় সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ১৫০ জন নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। যদিও বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ সংখ্যা দুই শতাধিক বলে দাবি করা হচ্ছে।
এমজে