চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর ওপর দিয়ে নির্মিত কালুরঘাট সেতুর রেলিং ভেঙে নদীতে যাত্রীবাহী একটি টেম্পু পড়ে যাওয়া ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে সেতুর বোয়ালখালী প্রান্তে এ ঘটনা ঘটে।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর ওপর দিয়ে নির্মিত কালুরঘাট সেতুর রেলিং ভেঙে নদীতে যাত্রীবাহী একটি টেম্পু পড়ে যাওয়া ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে সেতুর বোয়ালখালী প্রান্তে এ ঘটনা ঘটে।
নদীতে পড়ার পর স্রোতের তোড়ে গাড়িটি ভেসে যায়। এ সময় স্থানীয়রা গাড়িতে থাকা দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। তবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ জানায়, শনিবার রাতে গাড়িটি বোয়ালখালী থেকে সেতু দিয়ে চট্টগ্রাম শহরের দিকে যাচ্ছিল। সেতুতে ওঠার পর এক তৃতীয়াংশ গিয়ে গাড়িটি হঠাৎ রেলিং ভেঙে নদীতে পড়ে যায়।
চট্টগ্রাম নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম একরাম উল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, কালুরঘাট সেতুতে সংস্কারের কাজ চলছে। সেতুতে ওঠার পর পিছলে নদীতে পড়ে গাড়িটি স্রোতের তোড়ে ভেসে যায়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গাড়িটিতে দুজনই ছিলেন। যদিও সিসিটিভি না থাকায় এটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। গাড়িতে থাকা দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, কালুরঘাট রেলওয়ে সেতু ১৯৩০ সালে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ওপর নির্মাণ করে ব্রুনিক অ্যান্ড কোম্পানি ব্রিজ বিল্ডার্স হাওড়া। পরে ১৯৬২ সালে ওই সেতুর ওপর দিয়েই সড়ক পথের যান চলাচল শুরু হয়। দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রবেশদ্বার এই ৬৩৮ মিটার সেতুটি এর আগে দুইবার সংস্কার করা হয়েছিল। ২০০১ সালে এই সেতুটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। পরে ২০১১ সালে সেতুটিকে চুয়েটের একদল গবেষক আরও একবার ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন পরিচালনার জন্য ৯৩ বছরের পুরোনো এই সেতুকে সংস্কার করা হচ্ছে। ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটি মেরামতের জন্য ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছে ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। সংস্কারের কাজ শেষ ঘোষণা না হলেও একমাস আগে থেকে সেতুটি দিয়ে জোর করে গাড়ি চলাচল শুরু করে চালকরা।
এমআর/এমএ