উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে হামলা চালিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী। রাজধানী খার্তুমে অবস্থিত ওই বাসভবনে বিমান হামলা চালানো হয় বলেও অভিযোগ করেছে দেশটি।
উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে হামলা চালিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী। রাজধানী খার্তুমে অবস্থিত ওই বাসভবনে বিমান হামলা চালানো হয় বলেও অভিযোগ করেছে দেশটি।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানী খার্তুমে আমিরাতের রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে সুদানি সামরিক বাহিনীর বিমান হামলা চালিয়েছে বলে সংযুক্ত আরব আমিরাত সোমবার ভোরে জানিয়েছে। এছাড়া এটিকে “জঘন্য হামলা” বলেও নিন্দা জানিয়েছে দেশটি।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, তাদের রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে হওয়া এই হামলায় ভবনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে হামলার অভিযোগের বিষয়ে সুদানের সেনাবাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি।
গত প্রায় দেড় বছর ধরে সুদানে গৃহযুদ্ধ চলছে এবং এই সংঘাতে আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-কে অস্ত্র ও সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে সুদানের সেনাবাহিনী বারবার সংযুক্ত আরব আমিরাতকে অভিযুক্ত করেছে। যদিও উপসাগরীয় এই রাষ্ট্রটি ওই অভিযোগ অস্বীকার করে থাকে।
অবশ্য জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা পর্যবেক্ষণকারীরা এই অভিযোগকে বিশ্বাসযোগ্য হিসাবে বর্ণনা করেছে যে, সংযুক্ত আরব আমিরাত আরএসএফকে সামরিক সহায়তা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে পরিস্থিতির উত্তরণ নিয়ে গত বছরের এপ্রিলে সুদানের সেনাবাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। জাতিসংঘ বলছে, প্রায় আড়াই কোটি মানুষের দেশ সুদানের অর্ধেক জনসংখ্যারই সাহায্যের প্রয়োজন।
এছাড়া সংঘাতের কারণে সেখানে দুর্ভিক্ষ দেখা দিচ্ছে এবং প্রায় ৮০ লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণকারী চুক্তি এবং রীতিনীতি অনুসারে কূটনৈতিক ভবন ও দূতাবাস কর্মীদের বাসস্থান রক্ষার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছে মন্ত্রণালয়।”
টিএম