সিরিয়ায় বেশ কয়েকটি সামরিক স্থাপনায় ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৩৭ জন। গত রোববার রাতে মধ্য সিরিয়ার বেশ কয়েকটি সামরিক স্থাপনায় এসব হামলা হয়।
সিরিয়ায় বেশ কয়েকটি সামরিক স্থাপনায় ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৩৭ জন। গত রোববার রাতে মধ্য সিরিয়ার বেশ কয়েকটি সামরিক স্থাপনায় এসব হামলা হয়।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্য সিরিয়ার বেশ কয়েকটি সামরিক স্থাপনায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন বলে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সানা হাসান আল-গাব্বাশকে উদ্ধৃত করে বলেছে, গত রোববার রাতে হামা প্রদেশের মাসিয়াফের আশপাশে হওয়া এই হামলায় আরও ৩৭ জন আহত হয়েছেন।
অবশ্য যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক একটি পর্যবেক্ষক গোষ্ঠী জানিয়েছে, ইসরায়েলি এই হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছেন এবং হামলার শিকার লক্ষ্যবস্তুগুলোর মধ্যে মাসিয়াফের কাছে অবস্থিত একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্রও রয়েছে যা মূলত অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হতো।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা হামলা সম্পর্কে বিদেশি মিডিয়ার প্রতিবেদনের বিষয়ে মন্তব্য করবে না। অবশ্য সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই হামলাকে ‘নির্লজ্জ আগ্রাসন’ হিসাবে নিন্দা করেছে এবং ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটিকে ‘বেআইনী হামলা’ বলে অভিহিত করেছে।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটিতে শত শত হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি বাহিনীর এসব হামলায় প্রধান লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে লেবাননের ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর যোদ্ধা ও সিরীয় সেনাবাহিনীকে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরুর পর থেকে আঞ্চলিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং সেসময় থেকেই এই ধরনের ইসরায়েলি হামলাগুলো বেড়েছে।
এছাড়া গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে দেশটির বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর দুই জেনারেলসহ সাত উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরায়েল।
সেই হামলার প্রতিশোধে ইসরায়েলে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করেছিল ইরানের সামরিক বাহিনী।
টিএম