সম্পর্ক ব্রেকআপ হয়ে গেছে? কষ্ট কমাবেন যেভাবে

সম্পর্ক ব্রেকআপ হয়ে গেছে? কষ্ট কমাবেন যেভাবে

প্রেমে যে কেউ পড়তে পারেন এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। সম্পর্কের সময়টা ঠিক যতটা মধুর ঠিক ততটাই কষ্টকর হয়ে ওঠে ‘ধোঁকা’ খেলে। বেশ কিছু দিন কান্নাকাটি করে অনেকেই আবার নতুন করে ঘুরে দাঁড়ান, নতুন কারও প্রেমে পড়েন। কিন্তু সবার জীবনে তেমনটা হয় না। সম্পর্কে যার অনুভূতি যত গভীর, বিচ্ছেদের যন্ত্রণা তার মনে ততটাই দাগ কাটে। কেউ মুষড়ে পড়লেও সামলে নেন, আবার অনেকে অবসাদে ডুবে যান। 

প্রেমে যে কেউ পড়তে পারেন এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। সম্পর্কের সময়টা ঠিক যতটা মধুর ঠিক ততটাই কষ্টকর হয়ে ওঠে ‘ধোঁকা’ খেলে। বেশ কিছু দিন কান্নাকাটি করে অনেকেই আবার নতুন করে ঘুরে দাঁড়ান, নতুন কারও প্রেমে পড়েন। কিন্তু সবার জীবনে তেমনটা হয় না। সম্পর্কে যার অনুভূতি যত গভীর, বিচ্ছেদের যন্ত্রণা তার মনে ততটাই দাগ কাটে। কেউ মুষড়ে পড়লেও সামলে নেন, আবার অনেকে অবসাদে ডুবে যান। 

বিচ্ছেদের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে চরম সিদ্ধান্ত নেওয়ার নজিরও কম নয়। তবে এই কষ্টকর থেকে বেরিয়ে আসার পথও রয়েছে। এমন সময়ে কী করলে কষ্ট কমানো যেতে পারে সেই পরামর্শ দিলেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ। তিনি বলছেন, নতুন প্রজন্মের অনেকেই ডিজিটাল দুনিয়ায় প্রেম খুঁজে নিচ্ছেন। সে ভাবে হয়তো কেউ কাউকে চেনেন না, কিন্তু কিছু দিন কথাবার্তা চলতে না চলতেই অনেকে মানসিকভাবে সংযুক্ত হয়ে পড়েন অন্য মানুষটির সঙ্গে। সেই মানুষটি আদৌ বিশ্বাসের যোগ্য কি না, তা নিয়ে তলিয়ে ভেবেও দেখেন না। অথচ কিছু দিন পরে দেখা যাচ্ছে, দুজন দুজনের পরিপূরক নয়। বিচ্ছেদ অবধারিত। তবে অল্প সময়েই অনেকে এমনভাবে মন দিয়ে বসেন যে, ভাঙন ভীষণ কষ্টকর হয়ে ওঠে। এই সময়ে সাধারণত কয়েকটি কাজ করা যায়।

বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো

একা বসে থাকলেই স্মৃতি মনকে বিষন্ন করে তুলবে। সেই সময়ে আর ফিরবে না ভেবেই দুই চোখ ঝাপসা হয়ে উঠবে। তাই এই সময়টা যথা সম্ভব বন্ধু, আত্মীয়, প্রিয় মানুষদের সঙ্গে কাটানো দরকার। কোথাও বেরিয়ে আসা, সিনেমা দেখায় ব্যস্ত করে রাখলে খানিকটা সময় অতীতের স্মৃতি থেকে দূরে থাকা যাবে। তবে, বিষণ্ণ মনে এর কোনোটাই ভালো লাগতে নাও পারে। তবু বন্ধুদের সঙ্গে কষ্টের কথা শেয়ার করে নিলে মন হালকা লাগবে।

নিজেকে বোঝানো

নিজেকে প্রশ্ন করা দরকার, যে মানুষটি কষ্ট দিলেন, তিনি সত্যি কি যোগ্য ছিলেন? তিনি কি সত্যি কোনোদিন ভালোবেসেছিলেন? যদি তা না-ই হয়, তাহলে এই চোখের পানি বা কষ্ট অর্থহীন। জীবনে আবার নতুন কেউ আসবেন। শুধু সেই সময়ের জন্য অপেক্ষ করা প্রয়োজন।

কাজে মন দেওয়া

মানসিক কষ্ট ভোলার অন্যতম উপায় নিজের কাজে মন দেওয়া। নিজেকে সময় দেওয়া। বিচ্ছেদের পরের সময় যতই টালমাটাল হোক না কেন, কর্মজগতে মন দিলে বেশ কিছুটা সময় অন্য সব দিকগুলো ভুলে থাকা যায়। পেশাজগতে মনঃসংযোগে কাজের উন্নতি হতে বাধ্য। এ ক্ষেত্রে কাজের জগতে প্রশংসা মিললে নতুন করে ভালো লাগা তৈরি হবে।

শখ

ছোট থেকে বড় হওয়ার পথে নানা সময়ে নানা রকম শখ তৈরি হয়। অনেক শখ হারিয়েও যায়। জীবনের সেই ভালো লাগা, শখগুলোকে নতুন করে পুনরুজ্জীবিত করা যায়। মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বলছেন, এই সময়ে ভালো লাগার বিষয়ে ডুবে গেলে ভালো সময় কাটানো সম্ভব। কেউ গান গাইতে ভালোবাসেন, কেউ ছবি আঁকতে। কারও যদি ফুলের গাছ ভালো লাগে তিনি বাড়ির এক অংশে বাগান করায় মন দিতে পারেন। নতুন করে গান শিখতে পারেন। আঁকা শেখাতে পারেন। নিজেকে ভালো দিকগুলোতে ডুবিয়ে রাখলে কষ্ট ভোলা সম্ভব হবে।

যোগাযোগ ছিন্ন করা

বিচ্ছেদের পরেও অনেকে প্রাক্তনের ছবি দেখে নীরবে চোখের পানি ফেলেন। অনেকে সামাজিক মাধ্যমে তার গতিবিধি নজরে রাখেন। কিন্তু এগুলো করে কষ্ট কমানো যায় না। যে গিয়েছে তাঁর জন্য মন খারাপ না করে নতুন কিছুতে মন দেওয়া প্রয়োজন। মনের কষ্ট প্রিয় কোনো মানুষকে বলতে পারেন। যদি সমস্ত কথা না বলা যায়, তাহলে ডায়েরিতে লিখে রাখতে পারেন। এতে কিছুটা হলেও কষ্ট কমতে পারে।

মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বলছেন, সময় এ ক্ষেত্রে ক্ষতে প্রলেপ লাগাতে সাহায্য করে। তাই কষ্ট ভোলার জন্য সময় দেওয়া প্রয়োজন। তবে যদি বিচ্ছেদের অভিঘাতে খাওয়া-ঘুম ও দৈনন্দিন জীবনে তার খারাপ প্রভাব পড়তে শুরু করে তাহলে কাউন্সেলিং করানো দরকার।

এমএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *