শেরপুরে সাবেক হুইপ ও সাবেক দুই এমপির নামে মামলা

শেরপুরে সাবেক হুইপ ও সাবেক দুই এমপির নামে মামলা

শেরপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে গাড়ি চাপা দিয়ে শিক্ষার্থী শারদুল আশিস সৌরভকে (২২) হত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছে। 

সাবেক হুইপ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিউর রহমান আতিক, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছানুয়ার হোসেন ছানু ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ফাতেমাতুজ্জহুরা শ্যামলী, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমানসহ ৮৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০/৪০০ জনকে আসামি করে এই মামলা করা হয়েছে।  

মঙ্গলবার রাতে নিহত শিক্ষার্থী সৌরভের বাবা ছোহরাব হোসেন বাদী হয়ে শেরপুর সদর থানায় মামলাটি করেন। গতকাল বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।

মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন— শেরপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, নকলা পৌরসভার সাবেক মেয়র হাফিজুর রহমান লিটন, নালিতাবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু বক্কর সিদ্দিক, নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, নকলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম সোহাগ, জেলা বিএমএ সভাপতি ডা. এমএ বারেক তোতা, জেলা স্বাচিপ সভাপতি ডা. এ টি এম মামুন জোশ, জেলা যুবলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুন্নাহার কামাল প্রমুখ। 

এ ছাড়া একই মামলায় শেরপুরের সাবেক পুলিশ সুপার (বর্তমানে ডিআইজি) আনিসুর রহমান, জেলা জাসদের সভাপতি মনিরুল ইসলাম, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মানিক দত্ত ও ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িচালক হারুন মিয়াকে আসামি করা হয়েছে। 

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, নিহত শারদুল আশিস সৌরভ ঝিনাইগাতী উপজেলার সদর ইউনিয়নের জড়াকুড়া গ্রামের ছোহরাব হোসেনের ছেলে। তিনি শেরপুরের ডা.সেকান্দর আলী কলেজের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। গত ৪ আগস্ট বিকেলে শহরের খরমপুর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ধাওয়া দেন ও গুলি ছোড়েন। পুরো শহরটাই তারা দখল নেওয়ার চেষ্টা করেন ছাত্রদের ওপর গুলি চালিয়ে। ওই অবস্থায় প্রশাসনের গাড়ির চাপায় প্রাণ হারান কলেজছাত্র শারদুল আশিস সৌরভ ও মাহবুব আলম।  

গত ৪ আগস্ট বিকেলে একই এলাকায় ৩ শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় সদর থানায় পৃথক তিনটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। 

শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সদর থানায় এখন পর্যন্ত যতগুলো মামলা হয়েছে সেগুলোতে কোনো আসামি এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়নি।

এনএফ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *