বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনা জানতেন ন্যায় বিচার হলে তিনি হেরে যাবেন। প্রশাসন যদি নিরপেক্ষ হয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি নিরপেক্ষ হয় শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকবেন না- এটা তিনি জানতেন। তাই তিনি বেছে বেছে ছাত্রলীগ-যুবলীগ থেকে পুলিশে চাকরি দিয়েছিলেন, পুলিশ বাহিনী তৈরি করেছিলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৈরি করেছিলেন। এটা ছিল একটা নরকের শাসনামল। শেখ হাসিনার শাসন ছিল দোজখের শাসন। আমরা এই শাসনের আর কখনো পুনরাবৃত্তি চাই না।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনা জানতেন ন্যায় বিচার হলে তিনি হেরে যাবেন। প্রশাসন যদি নিরপেক্ষ হয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি নিরপেক্ষ হয় শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকবেন না- এটা তিনি জানতেন। তাই তিনি বেছে বেছে ছাত্রলীগ-যুবলীগ থেকে পুলিশে চাকরি দিয়েছিলেন, পুলিশ বাহিনী তৈরি করেছিলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৈরি করেছিলেন। এটা ছিল একটা নরকের শাসনামল। শেখ হাসিনার শাসন ছিল দোজখের শাসন। আমরা এই শাসনের আর কখনো পুনরাবৃত্তি চাই না।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল এলাকায় কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আমাদের ত্রাণ তৎপরতায় বিন্দু পরিমাণ কার্পণ্য নেই। আমরা বিগত ১৬ বছর জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছি, আমরা ত্রাণ নিয়ে এসেছি বিভিন্ন জায়গায়, আমরা করোনার সময় মানুষের পাশে থেকেছি। একদিকে করোনার ভয়, একদিকে বন্যায় ভেসে যাওয়ার ভয়, আরেক দিকে পুলিশের গ্রেপ্তারের ভয়। আমাদের মনে সব সময় পুলিশের ভয়, এই বুঝি পুলিশ আসে এই বুঝি গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়, তার মধ্যেও কাজ করেছি, বিপদ সামনে বিপদ পেছনে ডানে বিপদ তারপরও আমরা মানুষের পাশে থেকেছি। আমাদের সকল অঙ্গ সংগঠন প্রাকৃতিক সমস্ত বিপর্যয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এখন স্বস্তিতে নিশ্বাস নিতে পারি, এখন শেখ হাসিনা নেই, শেখ হাসিনার তাণ্ডব নেই, শেখ হাসিনার পুলিশ নেই, শেখ হাসিনার সেই গোয়েন্দা পুলিশ নেই। কিছুটা মুক্ত নিশ্বাস নিয়ে আপনাদের কাছে নির্ভয়ে আসতে পারছি।
রিজভী বলেন, বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা কেউই কিন্তু বসে নেই। দেশের পূর্বাঞ্চলের এই কৃত্রিম সংকট সম্পূর্ণ ভারতের তৈরি। এসব পূর্বাঞ্চলের বন্যার্ত মানুষের জন্য আজকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত যেমন কুড়িগ্রাম থেকে, দিনাজপুর থেকে, সাতক্ষীরা থেকে ত্রাণ নিয়ে ছুটে আসছে মানুষ। আজকে এক অভূতপূর্ব সংহতি দেখছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মানুষ আজকে দেখাচ্ছে। এতদিন এই ধরনের কর্মকাণ্ড, এই ধরনের একত্রিত হওয়ার সুযোগ ছিল না। আজকে যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আজকে কচি বাচ্চারা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ-কিশোর ছাত্ররা নিজের জীবন নিয়ে জুলাইয়ের সেই ভয়ংকর শেখ হাসিনার হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার মত এক রক্ত পিপাসু নেত্রীকে এই বাংলাদেশ থেকে বিদায় দিয়েছে। এই কারণেই আজকে আমরা আপনাদের কাছে আসতে পারছি।
এ সময় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এসএম জিলানী, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এ এ জহির উদ্দিন তুহিন, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হাজী জসীমউদ্দীন, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নজরুল ইসলাম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনির হোসেন পারভেজ, মহানগর আহ্বায়ক উৎবাতুল বারী আবু, সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরিফ আজগর/আরএআর