শেখ হাসিনার পদত্যাগ : আন্তর্জাতিক বিশ্বের প্রতিক্রিয়া

শেখ হাসিনার পদত্যাগ : আন্তর্জাতিক বিশ্বের প্রতিক্রিয়া

এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা শিক্ষার্থী-জনতার আন্দোলনের মুখে অবশেষে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন শেখ হাসিনা। ৭৬ বছর বয়সী এই নেত্রী বর্তমানে অবস্থান করছেন ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে।

এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা শিক্ষার্থী-জনতার আন্দোলনের মুখে অবশেষে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন শেখ হাসিনা। ৭৬ বছর বয়সী এই নেত্রী বর্তমানে অবস্থান করছেন ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে।

২০০৯ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জয়ী হয়ে দেশের দ্বিতীয়বারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। তারপর গত ১৬ বছরে যে তিনটি নির্বাচন হয়েছে, সেগুলোতেও জয়ী হয়েছেন তিনি এবং তার রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, তবে সেসব নির্বাচনের স্বচ্ছতা প্রশ্নবিদ্ধ।

তার এই পদত্যাগের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা কামনা করেছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের মেজরিটি লিডার চাক শুমার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘বৈধ প্রতিবাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহিংস প্রতিক্রিয়া তার নেতৃত্বের প্রতি মানুষের সমর্থন তুলে দিয়েছে। আমি সাহসী আন্দোলনকারীদের প্রশংসা করছি ও একই সাথে নিহতদের জন্য ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। সকলের অধিকারকে সম্মান করে এবং দ্রুত গণতান্ত্রিক নির্বাচন আয়োজন করে এমন একটি ভারসাম্যপূর্ণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা করা এ মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ।”

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল বলেন, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের কাছে শান্তিপূর্ণ স্থানান্তর খুব গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ যাদের নির্বিচারে আটক করা হয়েছে তাদের অবিলম্বে মুক্তি দেয়া উচিত।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের প্রতিনিধি বলেন, ‘‘সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বাংলাদেশে যে সহিংসতা আমরা দেখেছি ও তা সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’’ শিক্ষার্থী, শিশু ও আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাসহ সবার প্রাণহানির ঘটনা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা আশা করি গণতন্ত্রের অস্তিত্ব নিশ্চিত করতে এবং বাংলাদেশের জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।’’

জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বাংলাদেশের চলমান ঘটনাবলীর বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করে বলেন, ‘‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পথে এগিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।’’

এসএমডব্লিউ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *