আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব পাওয়ার পর সারা দেশের ন্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাস্তায়ও ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। সেই সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সড়কগুলোতে আছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, স্কাউটস এবং সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকরা। তারাই প্রধান সড়কে গাড়ি চলাচলসহ অন্যান্য শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করছেন।
আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব পাওয়ার পর সারা দেশের ন্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাস্তায়ও ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। সেই সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সড়কগুলোতে আছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, স্কাউটস এবং সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকরা। তারাই প্রধান সড়কে গাড়ি চলাচলসহ অন্যান্য শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) সকাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের টি.এ.রোড, কাউতলী, কুমারশীল মোড়, মেড্ডা, ভাদুঘর, টেঙ্কেরপাড়সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের প্রধান সড়কের কুমারশীল মোড় থেকে কাউতলী এলাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, আইডিয়াল রেসিডেন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ, এ মোনেম স্কুল অ্যান্ড কলেজ, পৌর ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরাসহ স্কাউটসের সদস্যরা সড়কে কাজ করছেন। তারা যাত্রীবাহী সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ব্যক্তিগত গাড়ি এবং মোটরসাইকেলের লেন নিশ্চিত করছেন। একইসঙ্গে কেউ যেন হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালাতে না পারেন সেদিকেও রাখছেন কড়া নজর।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী আয়মান ঢাকা পোস্টকে বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের যৌক্তিক দাবি আদায় করেছে। অনেক কিছুই পার করতে হয়েছে। এখন আমাদের দেশকে আমরাই সাজাব। সড়কে এতদিন নানা অসংগতি থাকলেও এখন আর সেগুলো করতে দেওয়া হবে না। শহরের ভেতর শতাধিক শিক্ষার্থী রোদে পুড়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছে।
আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও স্কাউটসের সদস্য আদিল রহমান ঢাকা পোস্টকে বলে, গতকাল সারাদিন আমরা সড়ক নিয়ন্ত্রণ করেছি। তবে আজ আনসার সদস্যরা রয়েছেন। তারাও আমাদেরকে সহযোগিতা করছেন। আমরা চাই একটি সুন্দর বাংলাদেশ। সবাই মিলেই সেটি গড়তে হবে।
ঢাকা পোস্টকে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বায়ক আবদুন নুর বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ থেকে শুরু করে অদ্যাবধি পর্যন্ত তারা রাস্তায় রয়েছে। পুলিশ কর্মবিরতিতে চলে যাওয়ার পর সড়কের নিয়মশৃঙ্খলা রক্ষায় আমারদেরই সন্তানরা। তারা দেশকে সামলাচ্ছে দেখে আমরা গর্বিত। তবে দ্রুত দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে এই ছাত্রসমাজ পড়ার টেবিলে ফেরত যাক সেই কামনা করছি।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার (৫ আগস্ট) কোটা সংস্কার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে থানায় হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে। এই পরিস্থিতিতে অনেক থানা থেকে পুলিশ সদস্যরা চলে গেছেন। রাস্তায়ও ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যাচ্ছে না।
মাজহারুল করিম অভি/এমজেইউ