মো. রিটন উদ্দিন পেশায় মুদি দোকানের সহকারী। সামান্য বেতনে চাকরি করে গ্রামের বাড়িতে দুই ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে তার সংসার। আছেন ছোট ভাই ও বাবা মা। যাত্রাবাড়ী পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান। রিটনকে হারিয়ে নিঃস্ব পরিবার, কান্না থামছে না সন্তানদের।
মো. রিটন উদ্দিন পেশায় মুদি দোকানের সহকারী। সামান্য বেতনে চাকরি করে গ্রামের বাড়িতে দুই ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে তার সংসার। আছেন ছোট ভাই ও বাবা মা। যাত্রাবাড়ী পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান। রিটনকে হারিয়ে নিঃস্ব পরিবার, কান্না থামছে না সন্তানদের।
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার সুখচর ইউনিয়নের হাজী নুর আহমদের বাড়ির আবুল কালাম ও নাসিমা বেগম দম্পতির ছেলে রিটন উদ্দিন।
রিটন উদ্দিনের মামা মো. জুয়েল ঢাকা পোস্টকে বলেন, রিটন যাত্রাবাড়ীর একটি মুদি দোকানে চাকরি করেন। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করায় তিনি দোকান থেকে বের হয়ে আনন্দ মিছিলে যোগ দেন। তারপর মিছিলটি যাত্রাবাড়ী থানার সামনে গেলে পুলিশের গুলিতে সে মারা যায়। প্রথম গুলি তার হাতে লাগে। পরের গুলি পাঁজরের পাশে ঢুকে বের হয়ে যায় এবং তৃতীয় গুলি তার নাভি দিয়ে ঢুকে পেছন দিয়ে বের যায়।
রিটনের ছোট ভাই মো. রিপন উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার ভাই ছাত্র আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছেন। বিজয়ের খবরে সেদিন ছুটি নিয়ে বিজয় মিছিলে যোগদান করেন। তার দুই ছেলে ও স্ত্রী রয়েছে। তাকে হারিয়ে আমার বাবা মা ও তার পরিবার পাগল প্রায় হয়ে গেছে।
চরকিং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাঈম উদ্দিন আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, রিটনের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। তার সন্তান ও স্ত্রী তাকে হারিয়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছে। অবুজ শিশুদের সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা আমাদের নেই। তাকে হারিয়ে পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। তার সন্তানরা সারাক্ষণ কান্না করছে।
হাসিব আল আমিন/এমএ