রংপুরে প্রায় ১২ বছর পর জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের দলীয় কার্যালয় খোলা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে পড়ে গতকাল সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন।
রংপুরে প্রায় ১২ বছর পর জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের দলীয় কার্যালয় খোলা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে পড়ে গতকাল সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন।
ওই দিন বিকেলেই জামায়াতে ইসলামীর বন্ধ কার্যালয়ের সামনে ভিড় করেন দলীয় নেতাকর্মীরা। এ সময় জেলা ও মহানগর জামায়াত-শিবিরের নেতারা তালা ভেঙে দীর্ঘ এক যুগ ধরে অযত্ন অবহেলায় পড়ে থাকা কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সকালে নগরীর শাপলা চত্বরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘদিন থেকে পড়ে থাকা দলীয় কার্যালয়ের সংস্কার কাজ চলছে পুরোদমে। সেখানে দূর-দূরান্ত থেকে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন।
বিকেলে কারমাইকেল কলেজে শোকরানা মিছিল করে ইসলামী ছাত্রশিবির। মিছিলে যোগ দেন কয়েক শ নেতাকর্মী। বৃন্দাবন থেকে মিছিলটি বের হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে প্রশাসনিক ভবনে এসে শেষ হয়। পরে কলেজের উপাধ্যক্ষকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান তারা।
এ সময় বক্তব্য দেন মহানগর ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি গোলাম জাকারিয়া। তিনি বলেন, দীর্ঘ জুলুমের অবসান ঘটে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। আমরা এই বিজয়কে ধরে রাখতে চাই। দেশ থেকে বৈষম্য দূর করতে ছাত্র-জনতার এই অভ্যুত্থানকে যেন কোনো শক্তি নস্যাৎ করতে না পারে সেদিকে সজাগ থাকতে হবে। ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ছাত্রশিবির কাজ করবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে ২০১৩ সালে রংপুর নগরীর শাপলা চত্বরে দলীয় কর্মসূচিতে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলার পর প্রকাশ্যে আর কোনো কর্মসূচি করতে পারেনি জামায়াত-শিবির।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরএআর