মৌলভীবাজারে শহীদদের স্মরণে কাওয়ালী সন্ধ্যা

মৌলভীবাজারে শহীদদের স্মরণে কাওয়ালী সন্ধ্যা

মৌলভীবাজারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে এবং ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দ্রোহের গান ও কাওয়ালি সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজাদী মঞ্চের আয়োজনে এতে অংশ নেয় মৌলভীবাজার সাংস্কৃতিক সংসদ (মৌসাস), জলপ্রপাত শিল্পী গোষ্ঠী  সহ আজাদী মঞ্চের শিল্পীরা।

মৌলভীবাজারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে এবং ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দ্রোহের গান ও কাওয়ালি সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজাদী মঞ্চের আয়োজনে এতে অংশ নেয় মৌলভীবাজার সাংস্কৃতিক সংসদ (মৌসাস), জলপ্রপাত শিল্পী গোষ্ঠী  সহ আজাদী মঞ্চের শিল্পীরা।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মৌলভীবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয় এ অনুষ্ঠান। কাওয়ালি, দেশের গান, কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতা, একক কবিতার মাধ্যমে মেতে ওঠে সহস্রাধিক শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতা।

অনুষ্ঠান উপভোগ করতে আসা অলি আহমদ সাজু বলেন, মৌলভীবাজারে এরকম অনুষ্ঠান এই প্রথম। এর আগে অনেক ধরনের অনুষ্ঠান শহীদ মিনারে হয়েছে। কাওয়ালির মাধ্যমে প্রাণ ফিরেছে মৌলভীবাজারে। স্বৈরাচার সরকার পতনের পর এই প্রথম শহীদ মিনারে এলাম কাওয়ালি শুনতে। এরকম আয়োজন নিয়মিত হলে আমার মতো যারা তরুণ আছে তারা আরও উদ্বুদ্ধ হবে।

রনি নামের একজন বলেন, আমি আমার মেয়েকে নিয়ে এসেছি। এর আগে কখনো এরকম মুক্ত মঞ্চে কাওয়ালি হতে দেখিনি। যা দেখে আজ আমি উজ্জীবিত, রোমাঞ্চিত। নিজেকে মুক্ত অনুভব করছি। সঙ্গে আমার মেয়েটি খুব খুশি।

আপন বিজনেস গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রুমান আহমদ বলেন, মৌলভীবাজারের মানুষের মধ্যে আকাঙ্ক্ষা ছিল এরকম একটি সুস্থ সংস্কৃতির। দেশের বিভিন্ন স্থানে কাওয়ালি অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়ে আসছিল। সেখানে ছাত্র-জনতা উৎসাহ নিয়ে উপভোগ করেছে। আমরা যারা সাধারণ নাগরিক আমাদের প্রত্যাশা ছিল মৌলভীবাজার শহীদ মিনারে বড় পরিসরে এরকম আয়োজন হবে। আজ এটা বাস্তবায়ন হয়েছে। বিশেষ করে মৌসাসের পরিবেশনা খুবই মনোমুগ্ধকর হয়েছে। এরকম পরিবেশনা শহীদ মিনারে নিয়মিত হলে সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশ লাভ করবে।

অনুষ্ঠানের আয়োজকরা জানান, এই কাওয়ালি মুসলিম কবিদের হাজার বছরের ইতিহাস বহন করে। বাঙালি মুসলিম কবিরা অজস্র কবিতা ও গান রচনা করেছেন। এই সব কিছুই আমাদের সমাজের প্রাণ, এই প্রাণকে জাগিয়ে তোলার জন্যেই আজাদী মঞ্চের এই কাওয়ালি সন্ধ্যা। আমাদের মুসলিম কবিদের সৃষ্টিকে আমরা কাওয়ালির মাধ্যমে জাগিয়ে তুলব এবং বারবার আমরা উজ্জীবিত হব।

আশরাফ/এসএম

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *