মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়ার শীর্ষ স্থানীয় এক ব্যবসায়ী ও তার কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক সম্পত্তি নিয়ন্ত্রণ অফিসের (ওএফএসি) এক বিবৃতিতে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়ার শীর্ষ স্থানীয় এক ব্যবসায়ী ও তার কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক সম্পত্তি নিয়ন্ত্রণ অফিসের (ওএফএসি) এক বিবৃতিতে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, কম্বোডিয়ার ব্যবসায়ী লি ইয়ং ফাটের কয়েকটি অনলাইন কেলেঙ্কারি কেন্দ্রে পাচারকৃত শ্রমিকদের আটকে রেখে জোরপূর্বক শ্রমে বাধ্য করা হয়। অনলাইন কেলেঙ্কারির এসব কেন্দ্রে শ্রমিকদের ওপর ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় ব্যবসায়ী লি ও তার কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে ওএফএসি।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়া লি ইয়ং ফাটের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে এলওয়াইপি গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড, এলটিডি গ্রুপ ও স্ম্যাচ রিসোর্ট। এসব প্রতিষ্ঠানে পাচারকৃত শ্রমিকদের বলপ্রয়োগ করে অনলাইন কেলেঙ্কারিতে বাধ্য করা হয়। লি ইয়ংয়ের প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকদের গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক তদন্তে প্রমাণ মিলেছে।
কম্বোডিয়া-ভিত্তিক অন্যান্য আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে ওএফএসি। এর মধ্যে রয়েছে কম্বোডিয়ার গার্ডেন সিটি হোটেল, কোহ কোং রিসোর্ট ও নম পেন হোটেল। এসব প্রতিষ্ঠানে লি ইয়ং ফাটের আংশিক মালিকানা রয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক সম্পত্তি নিয়ন্ত্রণ অফিস।
ওএফএসির ভারপ্রাপ্ত আন্ডার সেক্রেটারি ব্র্যাডলি টি. স্মিথ বলেছেন, মানবপাচার ও অন্যান্য অপব্যবহারের সাথে জড়িতদের জবাবদিহি করার জন্য আজকের এই পদক্ষেপ আমাদের প্রতিশ্রুতির ওপর গুরুত্বারোপ করছে। একই সঙ্গে আমাদের এই নিষেধাজ্ঞা আমেরিকান নাগরিক-সহ বিশ্বজুড়ে অসংখ্য মানুষকে লক্ষ্য করে বিনিয়োগের জালিয়াত প্রকল্পগুলোকে পরিচালনা করার সক্ষমতাকে ব্যাহত করবে।
তিনি বলেছেন, এই ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ড পরিচালনাকারী অপরাধী নেটওয়ার্ক ও যারা এমন নিপীড়নমূলক প্রকল্প চালিয়ে যেতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক সম্পত্তি নিয়ন্ত্রণ অফিস ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রাখবে।
সূত্র: রয়টার্স, ইউএস ট্রেজারি।
এসএস