ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় আক্রমণ, চার ঘন্টা পর পুলিশদের থানা ত্যাগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় আক্রমণ, চার ঘন্টা পর পুলিশদের থানা ত্যাগ

সরকার পদত্যাগের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিজয় উল্লাসকালে সদর থানায় আক্রমণ করেছে আন্দোলনকারীরা। ভাংচুর, অগ্নিকান্ড ঘটিয়ে পুলিশের সামনেই করেছে লুটপাট। সোমবার (৫ আগষ্ট) বিকাল ৪ টায় এই সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।

সরকার পদত্যাগের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিজয় উল্লাসকালে সদর থানায় আক্রমণ করেছে আন্দোলনকারীরা। ভাংচুর, অগ্নিকান্ড ঘটিয়ে পুলিশের সামনেই করেছে লুটপাট। সোমবার (৫ আগষ্ট) বিকাল ৪ টায় এই সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সারা বাংলাদেশের ন্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়ও চলছিলো বিজয় উল্লাস। বিকাল ৪ টায় মিছিলে উল্লারত একটি দল ক্রোধান্বিত হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় আক্রমণ করে। এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ওসি আসলাম হোসেনসহ থানার অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা থানা ভবনে অবস্থান করছিলেন। আক্রমণকালে মাইক দিয়ে থানায় আক্রমণ না করা কথা জানায়।

মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয় ‘আপনারা কেউ থানায় আক্রমণ করবেন না। আপনাদের মিছিল চালিয়ে যান। পুলিশ আপনাদের বন্ধু।’ কিন্তু আক্রমণকারীরা এই কথার তোয়াক্কা না করে থানায় ভাংচুর করে এবং আগুন লাগিয়ে দেয়। তাছাড়া থানা গেটের বাহিরে থাকা কয়েকটি গাড়িতে আগুণ ধরিয়ে দেয়। তবে থানার প্রধান গেটটি লাগানো থাকায় আন্দোলনকারী মূল ফটকে ঢুকতে পারেনি। তখন থানার গেট ভাঙচুর করে এবং থানার গেটের ভিতর একটি বড় ট্রাক ছিলো সেটি আগুন লাগিয়ে দেয়। এরপরই আক্রমণকারীদের হাত থেকে নিজের আত্মরক্ষার্থে থানার ভিতর থেকে একদিকে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে আর অন্যদিকে আন্দোলনকারীরা পুলিশদের উদ্দেশ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।

এতে বেশ কয়েকজনের আহত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এক পর্যায়ে সেনাবাহিনীর ৪-৫টি দল সদর থানায় আসে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তখন সেনাবাহিনী একজন সদস্য আন্দোলনকাীদের শান্ত করতে থানা মাইকে ঘোষণা দিচ্ছিলো। তিনি বলছিলেন, আমি সেনাবাহিনী একজন সদস্য বলছি। দয়া করে কেউ আর থানায় হামলা করবেন না। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছে।

এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীরা পুলিশ থানা ত্যাগ করার সুযোগ দিলে সদর থানার ওসি আসলাম হোসেনের নেতৃত্বে থানায় আটকে থাকা পুলিশ রাত সাড়ে ৮ টায় থানা থেকে বেরিয়ে যায়। এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীরা থানার ভিতরের কয়েকটি স্থানের আগুন লাগায় এবং কিছু পুলিশ সদস্যদের সামনেই লুটপাট করে।

স্থানীয়রা বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পুলিশের প্রতি শহরবাসী ক্ষুব্ধ। সেই ক্ষোভ থেকেই আন্দোলনকারী পুলিশের উপর আক্রমণ করেছে। তবে আন্দোলনকারীদের মধ্যে অনেকেই থানা রক্ষা করার চেষ্টা করেছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, শতাধিক লোক থানায় আটকা ছিলাম। বার বার মাইক দিয়ে আন্দোলনকারীদের হামলা করতে মানা করেছি। এক পর্যায়ে তারা থানায় আগুন লাগিয়ে দিচ্ছিলো এবং থানার গেট ভেঙ্গে ভিতরে প্রবশে করা চেষ্টা করছিলো। তখন আত্মরক্ষার্থে ফাঁকা গুলি ছুড়া হয়েছে। রাত ৮ টায় থানা থেকে পুলিশ সদস্যদের নিয়ে বের হতে পেরেছি।  

মাজহারুল করিম অভি/জেএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *