বুধবার রাতে ইসিবি চত্বরে আসলে কী ঘটেছিল

বুধবার রাতে ইসিবি চত্বরে আসলে কী ঘটেছিল

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বুধবার (৭ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ছড়িয়ে পড়ে যে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানা এলাকায় ডাকাতি হচ্ছে। এ খবর দ্রুত রাজধানীর মিরপুর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এরপর রাজধানীর মিরপুরের বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় নেমে আসেন ডাকাতি প্রতিরোধে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বুধবার (৭ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ছড়িয়ে পড়ে যে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানা এলাকায় ডাকাতি হচ্ছে। এ খবর দ্রুত রাজধানীর মিরপুর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এরপর রাজধানীর মিরপুরের বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় নেমে আসেন ডাকাতি প্রতিরোধে।

জানা গেছে, বুধবার রাতভর জেগে মিরপুর-১০, মিরপুর-১১, মিরপুর-১২, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া ও ইব্রাহিমপুর এলাকার বাসিন্দারা পাহারা দেন। এসময় মিরপুরের বিভিন্ন এলাকার মসজিদ থেকে ঘোষণা করা হয় যেন এলাকার মানুষজন রাস্তায় নেমে ডাকাতি প্রতিরোধ করেন।

এ বিষয়ে মিরপুর-১১ নম্বরের বাসিন্দা আয়নাল হোসেন বলেন, ফেসবুকে ইসিবি চত্বরে ডাকাতি হওয়ার খবর দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। এসময় মসজিদ থেকেও ঘোষণা দেওয়া হয় এলাকায় ডাকাত ঢুকে পড়তে পারে। তবে পরিচিত অনেকজনের সঙ্গে পরে কথা বলেছি, কেউ ডাকাতি হয়েছে বলে তথ্য দিতে পারেনি।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট)  রাজধানীর ইসিবি চত্বরের কয়েকজন দোকানির সঙ্গে গতকাল (বুধবার) রাতের ডাকাতির বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, ডাকাতির বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না।

পরে ইসিবি চত্বরের একটি বাড়ির নিরাপত্তা প্রহরীর কাছে ডাকাতি হওয়ার খবরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সেই এলাকার আরেকটি বাড়ি দেখিয়ে দেন। সেই বাড়িতে গিয়ে নাজমা আক্তার নামে এক নারীকে পাওয়া যায়।

তিনি গত রাতে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, গতকাল এশার নামাজের পর একদল যুবক এসে বাসায় হামলা চালায়। একপর্যায়ে ঘরের সবকিছু লুট করে নিয়ে যায় তারা।

এই লুটের ঘটনা কারা ঘটিয়েছে জানতে চাইলে ওই নারী বলেন, তিনি যে জায়গায় বসবাস করেন সেটি ‘নিউ গিনি প্রপার্টিজ লিমিটেড’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান দখল করে নিতে চায়। এজন্য মিরপুর থেকে শত শত লোক ভাড়া করে এনেছিল। যাদের ভাড়া করে এনেছিল, তাদের হাতে দেশি অস্ত্র ছিল। তারা যে জায়গায় বসবাস করেন, সেটি ‘অনলাইন গ্রুপ’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের জমি। এই জমির পাশেই নিউ গিনি প্রপার্টিজ লিমিটেডের আবাসন।

জানা গেছে, মূলত জমি দখলকে কেন্দ্র করে ইসিবি চত্বর এলাকায় কয়েকটি বাসাবাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। যেসব বাড়িঘরে হামলা হয়েছে, সেসব বাড়ি টিন দিয়ে তৈরি।

অন্যদিকে ইসিবি চত্বরে ডাকাতির কথা শুনে মিরপুর-১১ নম্বর এলাকায় পৌঁছানোর পর ওই এলাকার লোকজন লাঠিসোঁটা হাতে রাস্তায় নেমে আসেন। কিছুক্ষণ পরপর মিরপুর-১১ নম্বরের নান্নু মার্কেট এলাকায় বায়তুল এহতেরাম জামে মসজিদ থেকেও ডাকাত আসার খবর দিয়ে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানানো হয়।

পরে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সড়কে অবস্থানরত শত শত মানুষ ডাকাত সন্দেহে এক যুবককে আটক করেন। তাকে মারধর করে রক্তাক্ত করেন।

কিন্তু পরে ওই যুবক জানান, তিনি ডাকাত এসেছে শুনে ঘর থেকে বের হয়েছিলেন। হঠাৎ লোকজনের হাতে লাঠিসোঁটা দেখে দৌড় দিয়েছেন। এতেই তাকে ডাকাত সন্দেহ করে মারধর করা হয়েছে।

এমএসি/এসএসএইচ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *