বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা গণ-আন্দোলনের চাপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করার খবরে বিজয় উল্লাস হচ্ছে বরিশালে। নগরীর সবগুলো এলাকার কয়েক লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে এসে আনন্দ করছে। ‘পলাইছেরে পলাইছে, শেখ হাসিনা পলাইছে’ স্লোগানে স্লোগানে দিচ্ছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা গণ-আন্দোলনের চাপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করার খবরে বিজয় উল্লাস হচ্ছে বরিশালে। নগরীর সবগুলো এলাকার কয়েক লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে এসে আনন্দ করছে। ‘পলাইছেরে পলাইছে, শেখ হাসিনা পলাইছে’ স্লোগানে স্লোগানে দিচ্ছে।
রাস্তায় নেমে আসা মানুষজন বলছেন, স্বৈরাচারের পতন করে দেশটাকে স্বাধীন করা হলো। মিছিলে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, এই গণঅভ্যুত্থান জনগণের। জনগণকে শেখ হাসিনা দাস মনে করতো। মানুষ কথা বলতে পারতো না। সেতো দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিল, জনগণ হত্যার লাইসেন্স দিল কেন?
রেশমা নামে আরেকজন বলেন, আমরা বন্দি ছিলাম। মুক্ত হয়েছি। রক্তের বিনিময়ে দেশটাকে আবার স্বাধীন করলাম। ছেলেমেয়ে সব নিয়ে মিছিল দেখতে এসেছি। এই জয় উল্লাসে অংশ না নিলে অপরাধী মনে হবে।
এদিকে শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের খবর আসার পরপরই বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধরা।
তারা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়, এনেক্স ভবন, নগর ভবন, সার্কিট হাউস, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিক আব্দুল্লাহর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়াও বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরের কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এছাড়া বরিশাল প্রেসক্লাবের সামনে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়।
নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনীর কনভয় টহল দিচ্ছে। তারা সকলকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানান। এ সময় সাধারণ মানুষকে সেনাবাহিনীর উদ্দেশ্যে স্যালুট দিতে দেখা যায়।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরএআর